ডেস্ক নিউজ
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। শুক্রবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খানাপাড়ার কৈনাধারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এ বৈঠক হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী শর্মা এ সময় জোর দিয়ে বলেন, আসাম ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রচারের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাম্প্রতিক গতির প্রশংসা করেন। তিনি কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন। ব্রিটিশ আমলে বাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সঙ্গে রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আসাম উন্নত চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। ফলে বর্তমানে চিকিৎসা ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশে বাংলাদেশের জনগণের অন্যতম গন্তব্য হতে পারে আসাম। জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক এবং অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছে। ভারতে বাংলাদেশ চতুর্থ বৃহত্তম রেমিট্যান্স পাঠায়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাম ও সিলেটের মানুষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ সম্পর্কের সেরা সময় উপভোগ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মোমেন জোর দিয়ে বলেন আসাম বাংলাদেশের গতিশীল আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারে। তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো এবং পর্যটনের প্রসারের ওপরও জোর দেন এবং নদী পরিবহন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আয়োজিত একটি নৈশভোজেও যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সেখানে আসিয়ান দেশসমূহের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।