ডেস্ক নিউজ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের দীর্ঘ দুই বছর পর প্রাণ খুলে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে বাঙালি জাতি। গতকাল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে যায় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। জনতার স্রোত যেখানে গিয়ে মিশছে সেখানেই ফুটে উঠছে লাল-সবুজ। কপালে ও গালে জাতীয় পতাকা, পরনে লাল-সবুজের পোশাক। হাতে হাতে ফুল। লাল-সবুজের শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘণ্টা না পেরোতেই পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে যায় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করে। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গতকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় দিবসটির।
ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। পাশ থেকে বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের। ভিভিআইপি যাতায়াতের কারণে ফজরের আগ থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান ও সাঈদ খোকন।
গতকাল সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা লাখো মানুষের মুখে ছিল ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগান। একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুফল যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই সঙ্গে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর কেটে গেলেও বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য রয়ে গেছে তা দূর করার শপথ নিয়েছেন রাজনীতিবিদরা।
গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় এ দিবসটি উদ্যাপিত হয় সীমিত পরিসরে। তবে এ বছর মহামইরর প্রকোপ কমে আসায় পরিপূর্ণ আড়ম্বরের সঙ্গেই উদ্যাপিত হয়েছে দিনটি। স্মৃতিসৌধে উপস্থিত মানুষের সংখ্যাও ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই উল্লেখযোগ্য। শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতার রক্তলাল গোলাপের ডালি হাতে তাদের অনেকে একাই এসেছেন ঐতিহাসিক এ দিনটি স্মরণ করতে। তবে বেশির ভাগই এসেছেন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। সকাল থেকেই জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলগুলো, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ ৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, বাংলা একাডেমি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহীদদের প্রতি। এ ছাড়া যেসব রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন শ্রদ্ধা জানায় সেগুলো হলো- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ফজিলাতুন নেছা হল জাবি, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কবি জসীমউদ্দীন হল ঢাবি, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, এডাব, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, শহীদ সালাম বরকত হল জাবি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন পরিষদ, মৎস্য অধিদফতর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাপ, জাবি ছাত্রলীগ, জাবি সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ঢাকা জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ, জাকের পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স পার্টি, শহীদুল্লাহ্ হল ঢাবি, জাকের পার্টি যুবফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাউবি ছাত্র ঐক্য পরিষদ, ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাবি, জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা, স্যার এ এফ রহমান হল ঢাবি, মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়, সজাগ (সমাজ ও জাতি গঠন), জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাবি শিক্ষক সমিতি, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জবি শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ঢাকা জেলা বিএনপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট জাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পানি ও বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সমিতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ আইন সমিতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, নাগরিক ঐক্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইত্যাদি। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়ির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।
এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা মাদরাসায় উন্নতমানের খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে রাজধানীর তেজগাঁও রহমতে আলম ইসলাম মিশন অডিটোরিয়ামে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ধানমন্ডিতে মানুষের ঢল : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ভোরের আলো ফোটার আগেই অগণিত মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। সবার হাতে ছিল ফুল। তারা শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করেন ভবনের আশপাশের রাস্তায়। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছিল এ সারিতে। সকালে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। এরপর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। হাজারো মানুষের উপস্থিতির কারণে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর লোকারণ্য হয়ে যায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। যেসব সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ঘাটশ্রমিক লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ ছাড়া কবি, সাহিত্যিক, বাউলশিল্পী এবং কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবেও ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরের মতো এবারও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, রাত ১২টা ১ মিনিট (২৫ মার্চ দিবাগত) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।
গ্রামীণ ব্যাংকে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও মো. জসীম উদ্দিন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহিম খাঁন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।