নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ)- এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে কালো তালিকাভুক্তি এড়াতে হবে ইসলামাবাদকে। কেননা, ২৭ দফা কর্ম-পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া ১৫ মাসের সময়সীমা অক্টোবরে শেষ হবে।
এদিকে বন্ধুরাষ্ট্র পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে পলাতক বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনে করেন, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রাখতে কিছু মহল কাজ করছে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মুদ্রা পাচারের যে অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়।
এদিকে, পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় হঠাৎ বিএনপি নেতার এমন অভিব্যক্তিতে লন্ডন বাঙালি কমিউনিটিতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিবাদে জড়িত পাকিস্তানের প্রতি তারেক রহমানের এমন দরদে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে লন্ডনের কিংস্টন এলাকায় বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির নেতা আব্দুল খালেক জানান, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কারণে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করায় ২৩ আগস্ট সকালে স্থানীয় প্যালেস কিং রেস্টুরেন্টে তারেক রহমানকে তার দলবল নিয়ে আলোচনা করতে শুনেছি। তারেক বলেছেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিএনপিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করলে বিএনপিও চাপে পড়বে। কারণ বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিং, আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা করে দেশটি। এছাড়া তার লন্ডনে থাকার বিষয়েও যথেষ্ট সহযোগিতা করে দেশটি। পাকিস্তান ও বিএনপি-বিরোধী কিছু চক্র, বিশেষ করে ভারত, শ্রীলংকার মতো দেশগুলো এই চাপ সৃষ্টি করেছে বলে বিশ্বাস করেন তারেক।
খালেক আরো জানান, আলোচনায় তারেক পাকিস্তানের পক্ষে জোরালো সমর্থন আদায়ে সকল ধরণের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি বিএনপি-বিরোধী শক্তিগুলোকে শায়েস্তা করতে লর্ড কার্লাইলের মাধ্যমে জোর লবিং করার বিষয়েও অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ ও অর্থ পাচারের যে অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তারেক। হঠাৎ পাকিস্তানের পক্ষে তারেক রহমানের এমন অবস্থানে বাঙালি কমিউনিটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কোন উদ্দেশ্যে, কি স্বার্থে তারেক এমন ঘোষণা দিয়েছেন, তা নিয়েও এক ধরণের শঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারণ বাঙালিদের মনে।