ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশ ও ভারত নয়, পুরো অঞ্চলের কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ ছাড়া উপায় নেই।’
ভারত সফরের প্রথম দিনেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করকে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি ও সহায়তার নতুন যুগ সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানস্থল দিল্লির হোটেল আইটিসি মাওয়ারিতে সোমবার বিকেল ৪টায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর। এ সময় তাদের মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। একই বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের যে সার্কেল, তা প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের মাধ্যমে পূর্ণতা পেল বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশ ও ভারত নয়, পুরো অঞ্চলের কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ ছাড়া উপায় নেই।
‘অবকাঠামোগত কানেক্টিভিটি তো আছেই; এখন মানুষে মানুষে কানেক্টিভিটি, এনার্জি কানেক্টিভিটি, প্রযুক্তিগত কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। ভারত থেকে আমরা বিদ্যুৎ আনছি। এখন নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কানেক্টিভিটি তৈরি করতে হবে। আমাদের বন্দর ব্যবহারে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। বিবিআইএনকে সক্রিয় করতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে পানি ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে। তিস্তা এবং গঙ্গা নিয়েও আলোচনা হবে। সেটারও নবায়ন সময় এগিয়ে আসছে। এ ইস্যুতে কিভাবে আরও অগ্রগতি অর্জন করা যায় তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।’
মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিক সময়ে যে অস্থিরতা চলছে সে বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তুলে ধরেছেন বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একমত পোষণ করে বলেছেন যে এ অঞ্চলে অস্থিরতা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।’
সচিব বলেন, ‘বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট ঘিরে সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সহযোগিতা কিভাবে আরও বাড়াতে পারি তা নিয়েও আলাপ করেছেন তারা।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভালো কিছু হবে। তবে আজ প্রধানমন্ত্রী পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বন্দর অবকাঠামো ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগামীকালের বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং তুলা আমদানি বিষয়েও আলোচনা হবে।