ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাস্ক পরার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন হয়ে চলতে হবে। আমি বলতে চাই, সবাইকে মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন হয়ে চলতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকা অন্যকে সুরক্ষিত রাখা। সবাইকেই এটা মেনে চলতে হবে।
আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এক সংকটময় সময়ে আশুরা পালন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সব সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এ সময় সবাইকে ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর কারণে বাংলাদেশ তো বটেই সারাবিশ্বের অর্থনীতি স্থবির। তার মধ্যেও আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রেখেছি। রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা যাতে সৃষ্টি হয় সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে এটা এমন একটা ভাইরাস কেউ চোখেও দেখতে পারে না। এর ফলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ দেশে কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না, জমিহারা থাকবে না, এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে শুরু হলো করোনা ভাইরাস, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বব্যাপী।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য। ঘাতকেরা সেদিন নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেয়নি, যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী।