সাংবাদিকদের নিয়ে চরম আপত্তিকর পোষ্ট করেছেন আব্দুল কাইয়ুম নামে এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করলে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আব্দুল কাইয়ুম নাটোর শহরের হাফরাস্তা বেনু বেকারী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। সে দত্তপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলীর বড় ছেলে।
আব্দুল কাইয়ুম ফেসবুক পোষ্টে লেখেন, ‘করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা। এদের আয় বন্ধ হওয়ার দরুণ মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনবেলার জায়গায় কোনরকম একবেলা খেয়ে অথবা না খেয়ে দিন পার করছে। এমন মানবেতর জীবন যাপন করার কারনে তাদের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে, তাদের বউ অন্যের সাথে ভেগে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য ১০ কোটি টাকা সাংবাদিকদের নামে বরাদ্দ করেছে। এই সংকটকালে এমন খেটে খাওয়া নিন্ম পেশাজীবীকে খয়রাত প্রদান করার জন্য প্রদানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’ এ ঘটনায় নাটোরের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর পোষ্ট করায় আব্দুল কাইয়ুমকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি নাসিম উদ্দিন নাসিম জানান, এ ধরণের ধৃষ্টতা দেখানোর জন্য কাইয়ুমকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা উচিত। যাতে কাউকে নিয়ে ভবিষৎ এ আপত্তিকর পোষ্ট দেবার সাহস না পায়।
বাংলা নিউজের প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ জানান, সাংবাদিকদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা তার উচিত হয়নি। এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবার দাবী জানাচ্ছি। সাংবাদিক মঞ্জুরুল হাসান, রনেন রায়, মাহবুব হোসেন, সৈয়দ মাসুম রেজা, দোলোয়ার হোসেন, খান মামুনসহ অনেকেই আব্দুল কাইয়ুমকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। এ বিষয়ে আব্দুল কাইয়ুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগোযোগ করা হলে তিনি কোনই সদুত্তর দিতে পারেননি। বার বার করজোড়ে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, না বুঝেই এমন পোষ্ট দিয়েছেন। আমি দেশের সকল সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চাই। এছাড়া চলমান করোনা নিয়েও বিরুপ পোষ্ট দেয়া ঠিক হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। সকল পোষ্ট সরিয়ে ফেলে এমন ভুল আর করবেন না বলে অঙ্গিকার করেন তিনি। এর আগেও পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেটসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে নিয়ে আপত্তিকর পোষ্ট দিয়েছিলেন কেন এমন প্রশ্নে আব্দুল কাইয়ুম কোনই জবাব দেননি। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।