ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আড়াই হাজার শ্রমিককে সাড়ে ৯ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের ২৩তম বোর্ড সভায় ২৫৩১টির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের সহায়তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে জানানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে আড়াই হাজার শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের মৃত্যজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে প্রায় ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২০৩টি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত এ তহবিল হতে সহায়তার জন্য ১৩৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত কারণে তাদের পরিবার, চিকিৎসা সহায়তার জন্য ২১৩৪ জন এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষা সহায়তার জন্য ২৫৯ জন আবেদন করেন।
সভায় জানানো হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ১৩৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত কারণে ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ২ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য ৮ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং শ্রমিকের ২৫৯ জন সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তার জন্য ৮০ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদিত আবেদনকারীদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারীর এ সময়ে এ সকল শ্রমজীবী পরিবারগুলো আমাদের এ তহবিল থেকে সহায়তা পেলে তাদের অনেক বড় উপকার হবে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ে সবসময় অসহায় পাশে আছে। থাকবে সব সময়।’
অনুমোদিত সহায়তার অর্থ যাতে স্বল্পতম সময়ে শ্রমিকদের হাতে পৌঁছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বোর্ড সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড.রেজাউল হক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জেবুন্নেসা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো.নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার উপস্থিত ছিলেন।