নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরাফাত হোসেন রনিকে সালাম না জানিয়ে চলে যাওয়া শিশু মোহন হোসেনকে পিটানোর মামলায় মামলায় আরাফাত হোসেন রনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতরাতে সিংড়ার চৌগ্রাম বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, উপজেলার চৌগ্রাম গ্রামের মুকুল হোসেনের শিশু পুত্র মোহন হোসেন প্রায় ৪ মাস পূর্বে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় সেই পথ দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরাফাত হোসেন রনিও যাচ্ছিলেন। তাদের দুইজনের চলাচলের সময় শিশু মোহনের সাথে ছাত্রলীগ নেতা রনির ধাক্কা লাগে। পরে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে মোহনকে বলে পথ দেখে চলতে পারিস না। এই বলেই মোহনকে পিটানো শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দেয়। এদিকে এই ঘটনাটি কেউ একজন ভিডিও করে রাখে। এরপর গত ২৭ নভেম্বর ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন রনিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ রনিকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়ীতে গেলে রনি তখন থেকেই গা ঢাকা দেয়। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর গতকাল বুধবার রনি এলাকায় আসলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে চৌগ্রাম বাজার থেকে রনিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন রনির দাবী , সে মোহনকে মারধর করেনি। সে মোহনকে নিয়ে টিটক ভিডিও তৈরী করছিল। এসময় তার বন্ধুরা ওই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর দীর্ঘ দিন ওই ভিডিওর কোন খবর ছিলো না। কোন কারনে তাকে ফাঁসাতে এবং রাজনৈতিক সমাজে তার সুনাম নষ্ট করতে এই ভিডিওর কিছু অংশ এডিট করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।