আবু জাফর সিদ্দিকী, সিংড়া থেকে:
নাটোরের সিংড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ উঠেছে। ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিংড়া উপজেলার গ্রাহকরা। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ট পৌরসভার কয়েক’শ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছে বিলের কাগজ পৌঁছালে ওই বিলের টাকার পরিমাণ দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা দেখেন প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিলে বিগত মাসের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়াও মিটারের ইউনিটের সাথে উল্লেখিত বিলের ইউনিটের সাথে কোন মিল নেই।চামারী ইউনিয়নের চক লংকা গ্রামের রবিজুল ইসলামের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন,তার হিসাব নং ০৬১৯৩৪২১৯৭৭ , নতুন সংযোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার নতুন একটি বাড়ির তিনটি রুমে ৩টি বাল্ব জ্বলে আর ১টা ফ্যান ঘুরে কিন্তু জুন মাসে বিল এসেছে ৭৮১ টাকা। তিনি বলেন, গত ২/৩ মাসেও ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা বিল এসেছিল।পৌর শহরের দমদমা এলাকার মৌসুমী আক্তার লিজা বলেন, তদের বাসার বিল আসতো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কিন্তু গত দু’তিন মাস যাবৎ হাজার টাকার মত এসেছে। তিনি বলেন, এভাবে যদি ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হয় তাহলে আমরা সাধারণ গ্রাহকেরা কোথায় যাব। চকসিংড়া মহল্লার আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, কয়েক মাস আগে আমার আগের মাসের পরিশোধ করা বিল পরের মাসে আবার তুলে দেয়, অফিসে এসে বললে পরবর্তীতে ঠিক করে দেয়। আমরা খুবই হয়রানীর শিকার হচ্ছি, দ্রুত হয়রানী বন্ধ করে সেবার মান বাড়ানোর দাবি করছি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন,এই ভুতুড়ে বিলের কোনো সমাধান পায় না সাধারণ গ্রাহকেরা। দ্রুত এর প্রতিকার করা দরকার। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. সুলতান উদ্দিন ভুতুড়ে বিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লোকবলের অভাবে আনুমানিক বিল লিখে দেয় বলে শুনেছি। উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারণে লোকবলের অভাব রয়েছে। তাদেরকে বার বার বলা হয়েছে গ্রাহকরা যেন হয়রানীর শিকার না হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেবার মান বাড়ানোর জন্য।