নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুটপাট, ভাংচুরসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খাঁ’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মজনু ওরফে মাজেম আলী। গত ১৭ ডিসেম্বর এই অভিযোগটি দায়ের করা হয়। তাঁরা দুজনই চৌগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চৌগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, নাটোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মজনু ওরফে মাজেম আলী।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭১ সালের একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার এবং সরকারের রাজাকারের তালিকায় তার নাম রয়েছে। এবং সে একজন হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেও পরিচিত। এছাড়াও ১৯৭১ সালে তিনি সিংড়া উপজেলার মানিকচাপড় গ্রামের আব্দুল করিম ও অফিজ উদ্দিন নামের দুজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। বগুড়ার আদমদিঘী থানার গুলিয়া চাঁদপুর গ্রামে ব্যাপক হত্যা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। বর্তমানে সে মজনু ওরফে মাজেম আলীর ৯২ শতাংশ পুকুর দখল করে এবং ৩-৪ লাখ টাকার মাছ লুট করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপিকে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বিষয়টি দেখার জন্য লিখিতভাবে বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক খাঁ বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্র, আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার ভূমিকা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. ওহিদুর রহমান শেখ বলেন, আব্দুর রাজ্জাক খাঁ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আমার জানামতে সে এমন কর্মকান্ড করেনি। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এগুলোর তদন্ত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল করে থাকে।