নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর হাট এলাকায় মোতালেব হোসেন নামে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ১৬ শতাংশ সরকারি জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে অধিগ্রহণকৃত জায়গাটিতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাটোর জোনের কর্মকর্তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিংড়ার বিলদহর থেকে গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বেরিবাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকার অধিগ্রহণ করেন। সরকারিভাবে অধিগ্রহণকৃত ২৫৪৩ দাগের জায়গাটিকে এলাকাবাসী সরকারি জায়গা হিসেবে চেনে। হঠাৎ করে ২০১৯ সালে জায়গাটি দখল করে নিজেদের বলে দাবি করে চামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মোতালেব হোসেন। এরই তিমধ্যে জমিটির জাল দলিল তৈরি করে জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। বিলদহর হাটের মাছ ব্যবসায়ী বাদশা আলী, কুরবান আলী, তুহিন, আরিফুল ইসলাম ও আবু বক্করসহ ১২ জন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্ধকোটি টাকা। সরকারি জায়গাটি কিনে বিপাকে পড়েছেন বিলদহর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জমির এক পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে মাটি ভরট কাজ চলছিল। এছাড়া সামনের অংশে এরই মধ্যে ১২টি আড়ৎঘর নির্মাণ করে ব্যবসা চলছে। পেছনের অংশে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব হোসেনের কয়েকজন লোক এসে বলেন, ‘ভাই দ্যাখেন, ল্যাখেন। কিন্তু ছবি তুলতে পারবেন না।’
আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব হোসেন জায়গা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার কেনা সম্পত্তি বিক্রি করেছি। জমির দলিল দস্তাবেজ আছে।’ তবে তিনি কোনো প্রামাণ দেখাতে পারেননি।
নাটোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত। সরকারি জায়গা কেউ কেনাবেচা করতে পারবে না। মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।