সিংড়া সংবাদদাতাঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউপির আগপাড়া শেরকোল গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে পিতাকে হত্যার পর ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও তদন্ত পূর্বক পিতা হত্যার বিচার চেয়ে সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দৈনিক ইনকিলাব সংবাদদাতা আনোয়ার হোসেন আলীরাজ। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। জনা যায়, ১৯৫৭ এবং ১৯৯৩ সালে ১২০২ ও ৪৮০ দাগ থেকে আজগর আলী ও তার স্ত্রী মোছাঃ নকিরন নেছা ৩৩ শতাংস জমি ক্রয় করে ভোগ দখল ও বসবাস করতে থাকেন। আর এস রেকর্ডের সময় পুরো সম্প্রত্তি নকিরন নেছার নামে রেকর্ড হয়ে যায়। তখন তাদের কোন সন্তানাদি না থাকায় বিষয়টি গুরুত্ব দেননি আজগর আলী। নকিরন নেছা ও আজগর আলীর সন্তানাদি না থাকায় স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে অনুরোধ করেন স্ত্রী নকিরন নেছা। স্ত্রীর অনুরোধে ১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আজগর আলী। ১৯৭১ সালে আজগর আলীর প্রথম স্ত্রী মোছাঃ নকিরন নেছা তার সতিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে ১৬ শতাংস জমি দান করেন। ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ১৯৭২ সালের পর মারা যান নকিরন নেছা। তার মৃত্যুর প্রায় ১৬ বছর পর প্রতিপক্ষ আফছার আলী দাবী করেন নকিরন নেছার মৃত্যুর আগে তিনি ২৫ শতাংস জমি কিনে নিয়েছেন। ১৯৯১সালে আজগর আলী প্রতিপক্ষের ওই দলিল ভূয়া দাবী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ২৭-০৯-৯৩ সালে রাতে আজগর আলী মারা যান। চলতি বছর ছেলে আনোয়ার ওই মামলার নথিপত্র উঠায় এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেয়া মৃত্যু সনদ অনুযায়ী জানতে পারে তার মায়ের মৃত্যু ১৯৭২ সালের পর। আর প্রতিপক্ষ আফছার আলীর দলিল ১৯৭৫ সালে। এর আগে আজগর আলীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে টিনের ঘরসহ কাঁসার থালা প্লেট ও নগদ টাকা, সোনাদানা লুট করে নিয়েছেন আফছার আলী ও তার পিতা মৃত ইয়াতুল্লাহ। ভূয়া দলিলে বিষয়টি আনোয়ার হোসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন ও গ্রাম্য মাতবর আবজাল সরকার ও শাহজাহান আলীকে জানালে তারা আনোয়ারকে মামলা করার পরামর্শ দেন। গ্রামে বিচার না পেয়ে প্রতিপক্ষ আফছার আলীর দলিলের ই-নামজারী বাতিল করতে সিংড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে মামলা করেন আনোয়ার হোসেন এবং তার নামের ১৬ শতাংস জমি ই-নামজারী করে নিয়ে বিষয়টি বিবাদীর আত্বীয় স্বজনের মাধ্যমে তাকে জানানো হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমিতে আনোয়ারকে যেতে নিষেধ করেছেন। সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজ বলেন, যদি আমার পিতা বেঁচে থাকতেন, তাহলে ভূয়া দলিলের অভিযোগে আফছার আলী জেলে যেতেন, তাই আমার ধারনা ওই ভূয়া দলিল জায়েজ করতে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।