ডেস্ক নিউজ
জ্বালানি তেলসংকট মেটাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে উৎপাদন করা হবে পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিন।
বুধবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে জ্বালানি তেলসংকটের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একাধিকবার সহযোগিতা চেয়ে আসছিল সিলেটের পাম্পমালিকদের সংগঠনের নেতারা।
সিলেটে জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি–সংক্রান্ত এই বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আবু বকর ছিদ্দীক। সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। সভায় সিলেট পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাসহ জ্বালানি তেল–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ থাকা সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিন উৎপাদন শুরু হবে। সেই সঙ্গে রেল ও সড়কপথে জ্বালানি তেল পরিবহনের পাশাপাশি নদীপথ দিয়েও সিলেটে জ্বালানি তেল নিয়ে আসা হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, সিলেটে কয়েক দফা রেলওয়ের তেলবাহী ওয়াগন দুর্ঘটনার পর সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে তেল উৎপাদন বন্ধ থাকায় চাহিদা মোতাবেক তেল সরবরাহ করতে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধান করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সড়কপথের পাশাপাশি নদীপথেও তেল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, এত দিন ভৈরব ও আশুগঞ্জ থেকে তেল সরবরাহ করা হতো। আমরা ঘাটতি মেটাতে সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে দ্রুতই তেল উৎপাদন শুরু করব। এরপর আশা করছি সিলেটে তেলের কোনো সংকট থাকবে না।
সিলেট পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে তেলের সংকট সমাধানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান সব সমস্যা সমাধান করে সিলেটে গ্যাসফিল্ড থেকে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে আবারও তেল উৎপাদন শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।