ডেস্ক নিউজ
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে অনেক ব্যাংক ইতোমধ্যে ঋণের সুদহার এক অংকের ঘরে নামিয়ে আনলেও কেউ কেউ সেটা বাস্তবায়ন করেনি। তবে এখনও যারা এই সিদ্ধান্ত মানেননি, তাদের বলব বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে কেউ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঋণের সুদহার এক অংকের ঘরে আনার জন্য ব্যাংকগুলো যেসব শর্ত দিয়েছিল, সরকার সেসব শর্ত পূরণ করেছে। কিন্তু কেউ কেউ সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে সুদহার এক অংকের ঘরে এখনও আনেননি। যারা সরকারের সিদ্ধান্ত মানবে না, তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং আইনে সংস্কার এনে মার্জার ও একুইজিশনের মত বিষয়গুলো কার্যকর করা হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ঋণের সুদহারের ক্ষেত্রে আমরা একটি একক রেট করতে চাই। সেটা অব্যশই ১০ শতাংশের ওপরে যাবে না। ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি যেতে পারে। এটা একটি বড় কর্মযজ্ঞ। সবাই মিলে করতে হবে, এখানে বড় বিষয় হলো-কোন পক্ষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এজন্য সরকার মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, দেশের শিল্পায়নের স্বার্থে আমরা আর্থিকখাতের সংস্কার কর্মসূচি জোরদার করতে চাই। ব্যাংকিং, পুঁজিবাজার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া আর্থিক খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খেলাপি ঋণ আদায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কাউকে জেলে পাঠিয়ে বা অপমান করে টাকা আদায় করতে চাই না। তারা যাতে টাকা দিতে পারে, এজন্য তাদেরকে আমরা সময় দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের করের টাকা যেন ব্যাংকগুলো ফেরত পায়।