করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন বছরে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারি নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি ৩০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর স্কুলে ভর্তির জন্য তিনটি বিকল্প পদ্ধতি চিন্তা করা হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথমটি আগের মতো শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা। দ্বিতীয়টি ছিল অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা এবং তৃতীয়টি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া।
শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য পরীক্ষা না নিয়ে ডিজিটাল লটারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কিন্তু এক্ষেত্রে আবেদনে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এখানে হস্তক্ষেপ করেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় নির্ধারিত ডিজিটাল লটারির অনুষ্ঠান স্থগিতের পাশাপাশি আবেদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে।
ইতোপূর্বে বয়সের কারণে আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা এখন আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
আবেদনের জন্য সফটওয়্যার ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি চলমান থাকবে ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি ভর্তি সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব নয়। আর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন বলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
শিশুদের ভর্তির জন্য এবার আগের মতো ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া (এলাকা কোটা) পরিবর্তন করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর আগে ক্লাস্টার ভিত্তিক একটি স্কুলে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও এবার পাঁচটি করে পছন্দের স্কুল নির্বাচন করা যাবে।