নিউজ ডেস্কঃ
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির কারণে এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর টেস্টে প্রত্যাবর্তনটা হলো সোজা অ্যাশেজের মতো জমজমাট সিরিজ দিয়ে। এত দীর্ঘ বিরতির পরও ধার কমেনি স্টিভ স্মিথের ব্যাটের। শুধু ইংলিশ বোলার সঙ্গে লড়লেই হতো না স্মিথের, গ্যালারি থেকেও ক্রমাগত ভেসে আসছিল ধুয়োধ্বনি।
এত প্রতিকূলতার সঙ্গে যোগ হয় নিজ দলের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। ট্রাভিস হেড ৩৫ ও উসমান খাজা ১৩ ব্যতীত আর কেউই পারেননি দুই অঙ্কে যেতে, দল ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে মাত্র ১২২ রানে। সেখান থেকে কেউ হয়তো কল্পনাও করেনি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গিয়ে থামবে ২৮৪ রানে। যেখানে স্মিথের একার অবদানই ১৪৪ রান।
শেষের দুই ব্যাটসম্যান (আদতে বোলার) পিটার সিডল ও নাথান লিয়নকে নিয়ে স্মিথ যোগ করেন আরো ১৬২ রান। নবম উইকেটে সিডলের সঙ্গে ৮৮ এবং লিয়নকে নিয়ে শেষ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। দলীয় ১২২ রানের মাথায় যখন ৮ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার তখন স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। সেখান থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রহে যোগ করেন আরও ১০২ রান।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা কেউই সঙ্গে দিতে না পারলেও, লেজের দুই ব্যাটসম্যান সিডল ও লিয়ন দারুণ সহায়তা করেছেন স্মিথকে। নিজের ফিফটির খুব কাছে গিয়েও ৪৪ রানে আউট হন সিডল, লিয়ন অপরাজিত থাকেন ১২ রান করে। আর স্মিথ গড়েন ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া যেকোনো অ্যাশেজের প্রথম দিনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এছাড়া মাত্র ১১৮ ইনিংসে ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান বনে যান স্মিথ, পেছনে ফেলে দেন ১২৩ ইনিংসে ২৪তম সেঞ্চুরি করা বিরাট কোহলিকে। মাত্র ৬৬ ইনিংসে ২৪তম সেঞ্চুরি করে যথারীতি এ তালিকার শীর্ষে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান।
ক্যারিয়ারের ২৪তম হলেও অ্যাশেজে স্মিথের এটি নবম সেঞ্চুরি। মর্যাদার এ সিরিজে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি রয়েছে কেবল স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (১৯), স্যার জ্যাক হবস (১২) এবং স্টিভ ওয়াহর (১০)। সমান ৯টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে এ তালিকার চতুর্থ স্থানে ওয়ালি হ্যামন্ড এবং ডেভিড গাওয়ারের সঙ্গী হয়েছেন স্মিথ।