নিউজ ডেস্ক :
শেষ জীবনে এসেও স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে না পারায় বিএনপিতে নিষ্ক্রিয় থাকার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাফ ডজন খানেক সিনিয়র নেতা। অভিমান ও অপমানবোধ থেকে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন নানা গুঞ্জন চাউর হচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে।
সামান্য বিতর্কের কারণে স্থায়ী কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় শাহ মোয়াজ্জেম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবদিন ফারুক এর মতো সিনিয়র নেতারা চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন না করে স্বজনপ্রীতি ও অর্থের কাছে পরাস্ত হয়ে তারেক রহমান সেলিমা রহমান ও ইকবাল মাহমুদ টুকু‘র মতো রাজপথ বিমুখ নেতাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ দিয়েছেন বলেও মনে করছেন এসব নেতা।
এই বিষয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, বিগত বিএনপির শাসনামলে আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। স্থায়ী কমিটির পদ পেতে আমার যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কোনো ব্যক্তির প্রশ্ন থাকার কথা নয়। অথচ আমাকে দেয়া হলো না স্থায়ী কমিটির পদ। এর চেয়ে বড় অপমান আমার জন্য কি হতে পারে? আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। আমার না হয় কিছু সমস্যা রয়েছে, কিন্তু মোয়াজ্জেম-নোমানরা কি করেছেন, যে তাদের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলো না?
তিনি কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে আরো বলেন, রাজনীতি করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হয়ে যায়। সেটির জন্য তো সারাজীবন খোটা দেয়ার মানে হয় না। ক্ষমতায় থাকাকালীন কিছু ভুল ছিল আমাদের, সেটার প্রায়শ্চিত্ত তো দিচ্ছি এক যুগ ধরে। এসময় যদি দলেও অবমূল্যায়িত হই, তাহলে তো রাজনীতি করার কোন মানে হয় না। নোমানদের সিদ্ধান্ত নিয়ে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্থায়ী কমিটির পদ বিতরণের বিষয়টি অনেকটা মনোপলি‘র মতো। এখানে তারেক রহমান সর্বেসর্বা। তার ইচ্ছার বাইরে কারো কোন তদবিরে কাজ হবে না। কিন্তু অনেক সিনিয়র ও ডেডিকেটেড নেতা থাকার পরও সেলিমা-টুকু কিভাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন, সেটি অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। যথাযথ মূল্যায়িত না হলে মন তো খারাপ হবেই। তবে এর জন্য রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার সিদ্ধান্তটা গ্রহণযোগ্য নয়।