নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুটি শূন্য পদে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ পূরণে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। কিন্তু সেখানে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন দুই সদস্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শাহজাহান ওমর বলেন, আমার দ্বারা আর এ দল (বিএনপি) করা সম্ভব না।
দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, যে দলে ত্যাগী-যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয় না সে দলের নিজের অবস্থান খোঁজার চেষ্টা বোকামি। বিএনপিতে একটি বিশেষ মহল দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে। যেখানে স্বেচ্ছাচারিতা প্রাধান্য পাচ্ছে। সুতরাং সেখান থেকে বিশেষ কিছু পাওয়ার আশা করা উচিত হবে না। আর আমারও বয়স হয়েছে, এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে ভাবতে ও থাকতে চাই। তাই আমার পক্ষে বিএনপি করা সম্ভব হবে না।
এর আগে, ঐদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র নতুন দুই সদস্য হিসেবে বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নাম ঘোষণা করেন। যা নিয়ে দলে নানা গুঞ্জন চাউর হয়। যোগ্য অনেক নেতাদের বাদ রেখে সেলিমা-টুকুর স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি সহজ চোখে দেখছেন না অনেকেই।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য থেকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় তাকে। ওই কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্যের মধ্যে দুটি পদ শূন্য ছিল। পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য মারা যাওয়ায় পাঁচটি পদ শূন্য হয়। যেখানে বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতার নাম আসার কথা থাকলেও ঘটনা ঘটেছে অন্য রকম। ফলে এ নিয়ে নতুন টানাপোড়েন শুরু হয় বিএনপির রাজনীতিতে।