নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি শুধু স্ববিরোধী দলই নয়, বরং গণবিরোধীও। গণবিরোধী দল বলেই তারা নিজেদের কথা ব্যতীত জনগণের জন্য কথা বলে না। যার কারণে বিগত একযুগ ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে দলটি। রাজনৈতিক ও নৈতিক শক্তি হারিয়ে দলটি আজ আবাসিক দলে পরিণত হয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপির এমন পরিস্থিতির জন্য দলটির নেতৃত্ব দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের একজন সাবেক অধ্যাপকের মতে, বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে যথেষ্ট গলদ রয়েছে। দলটি কোনো অবস্থাতেই জনগণের নার্ভ বুঝতে পারেনি। বিএনপি কখনই সাধারণ মানুষের দলে পরিণত হতে পারেনি। নির্বাচন বর্জন ও সংসদে প্রবেশ নিয়ে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি ও জনবিরোধী কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলো। যার প্রতিদান পেয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। স্ববিরোধী ও জনবিরোধী অবস্থানের কারণে বিএনপির অস্তিত্ব আজ সংকটের সম্মুখীন। একে একে সঙ্গীহীন হয়ে পড়ছে বিএনপি। বিষয়টি দলটির জন্য উদ্বেগজনক।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিছু রাজনৈতিক ভুলের কারণে আজকে বিএনপিকে রাজপথে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। ২০০৮ সালের পরই বিএনপির অভ্যন্তরে সংস্কার চালানো উচিত ছিলো। প্রতারক, ধোঁকাবাজ ও ভীতু নেতাদের বাদ দিয়ে তরুণদের সুযোগ দিলে দলটিকে আজ ধুঁকতে হতো না।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলন-মিছিল-মিটিং তো এখন বিএনপির রাজনীতিতে দুষ্কর হয়ে পড়েছে। জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে বিএনপিকে। এসি রুমে বসে অভিযোগ করলেই রাজনৈতিক দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। রাজপথে নামতে হবে, রোদে পুড়তে হবে। তবেই রাজনীতি পোক্ত হবে।