ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার ট্রাফিক পুলিশ ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি’ ব্যানার নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মানুষকে সচেতন করে।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চালকদের দোষ থাকলেও সাধারণ মানুষেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে সচেতন করতেই আমরা এ কর্মসূচি পালন করছি। ’
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করেই সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। এতে বাসচালকদের দায়িত্বহীনতা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে এসেছে। এটিই বাস্তবতা। তবে সাধারণ মানুষেরও এ ক্ষেত্রে অনেক দায়িত্ব আছে।
সড়ক পারাপারের সময় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, মানুষকে রাস্তা পারাপারের সময় অবশ্যই ‘ফুট ওভারব্রিজ’ ব্যবহার করতে হবে। জেব্রাক্রসিং দিয়ে চলাচলের সময় হতে হবে সতর্ক।
রাজধানীতে গত কয়েক দিনে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতিটি ঘটনায় চালকের দায়িত্বহীনতা রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসি ট্রাফিক-ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শুধু চালক নন, সমাজের সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা—সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, ডেমরা এলাকায় অন্তত ১০টি পয়েন্টে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়। এর মধ্যে মাতুয়াইল ‘মেডিক্যাল পয়েন্ট’ অন্যতম সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। প্রায়ই সেখানে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মানুষ হতাহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এলাকায় একটি ‘ইউ লুপ’ স্থাপন করা গেলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।