ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন খালগুলোকে উদ্ধার করে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করছে সংস্থাটি। প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ধার করা খালগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পর তা দখলরোধে খালের দু’পাশে করা হবে সাইকেল লেন ও ওয়াকওয়ে।
নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশ তৈরিতে খালগুলোর দুই পাশে করা হবে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে। চলতি বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি পাস হলে আগামী বর্ষার পরপরই শুরু হবে দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ‘মতিঝিল পার্ক’-এর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রকল্পটি সম্পর্কে জানান।
তাপস বলেন, প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি এ প্রকল্পের আওতায় আমরা খালগুলোর পাশে সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আবার যেন দখলের পাঁয়তারা না থাকে এবং জনগণ যেন একটি মানসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমরা প্রকল্প প্রণয়ন করেছি।
এ সময় মেয়র জানান, ডিএসসিসির চলমান খাল দখলমুক্ত অভিযান এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তাপস বলেন, গত বছর যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছিল, সেসব জায়গায় আমরা কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি এবং তার নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করছি। আপনারা লক্ষ করেছেন যে, এ পর্যন্ত আমরা যত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি, তা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি এবং আগামী মার্চ পর্যন্ত যে কার্যক্রমগুলো আমরা করব বলে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেটাও পুরোটাই নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।
জলাবদ্ধতার দূরীকরণে এসব অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার মতো এবং বর্জ্য অপসারণে ২০-২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে জানান ডিএসএসসি মেয়র।
মেয়র জানান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণের হতে খাল দখলমুক্ত করার অভিযান এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান আছে এবং এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। খালগুলো দীর্ঘদিন দখল অবস্থায় আছে, কিন্তু আমরা সেই দখলমুক্ত করার বিশাল কর্মযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার সঙ্গে ডিএসসিসির যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে, সে অনুযায়ী ওয়াসার কাছ থেকে যে যান-যন্ত্রপাতি পাব, সেগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে। এ কারণে ডিএসসিসির সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।