ডেস্ক নিউজ
করোনার প্রভাবে ইউরোপে বেড়ে গেছে বাইসাইকেলের চাহিদা। আবার পিছিয়ে পড়া জুতার রপ্তানির চিত্রও নতুন করে আশা জাগাচ্ছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিও দিন দিন বাড়ছে। এসব খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা দূর করা গেলে এসব খাত আরও ভালো করবে। রপ্তানিতে একক পণ্যনির্ভরতা কমাতে হলে দরকার সরকারি নীতিসহায়তা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন করেছেন ফখরুল ইসলাম ও শুভংকর কর্মকার
করোনা মহামারির মধ্যেই এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মাইলফলকে পৌঁছে গেছে কৃষিপণ্য। বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১০২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের হিস্যাই বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ১০ বছর আগেও কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৪০ কোটি ডলার। চার বছর ধরে খাতটির রপ্তানি আয় বাড়ছে। অবশ্য করোনার কারণে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি ৫ শতাংশ কমেছিল। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে খাতটির রপ্তানি আয় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। যদিও পুরো বছরটিই করোনা মহামারির মধ্যেই কেটেছে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মধ্যে বেশি রপ্তানি হয় রুটি, বিস্কুট ও চানাচুর–জাতীয় শুকনা খাবার, ভোজ্যতেল ও সমজাতীয় পণ্য, ফলের রস, বিভিন্ন ধরনের মসলা, পানীয় এবং জ্যাম-জেলির মতো বিভিন্ন সুগার কনফেকশনারি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিস্কুট, রুটি–জাতীয় শুকনা খাবার রপ্তানি করে বিদায়ী অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানিগুলো ২৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪৬ শতাংশ বেশি। তার বাইরে চা, শাকসবজি ও ফলমূলও রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) জানায়, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান আছে ২০টি। আর রপ্তানি করছে ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে বর্তমানে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার।
কৃষিপণ্যের রপ্তানির বড় অংশ করে প্রাণ গ্রুপ। বিদায়ী অর্থবছরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার। ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু করা এই শিল্পগোষ্ঠী বর্তমানে ১৪৫টি দেশে পৌঁছে গেছে। ফ্রুট ড্রিংক, পানীয়, বিস্কুট, সস, নুডলস, জেলি, মসলা, সুগন্ধি চাল, পটেটো ক্র্যাকার, চানাচুর, ঝাল-মুড়ি ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি।