ডেস্ক নিউজ
গত এক দশকে ১০ কোটির বেশি মানুষের অনলাইনে আসার তথ্য জানিয়ে দেশের সবাইকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার ওয়াদা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দেশের ১৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন সংযোগ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশে সবারই দাবি, সব জায়গায় ওয়াই-ফাই জোন করে দেওয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের, সেই কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন আরম্ভ করি তখন অনলাইন তো দূরের কথা ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট অ্যাকসেস পেত, এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি। আমাদের তরুণদের যে দাবি, সব জায়গায় তাদের ওয়াই-ফাই করে দেওয়া, সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হল সেটারই অংশ যে, সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের টেলিযোগাযোগ বিভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ওয়াই-ফাই জোন করে দিচ্ছে। এই কাজ চলমান থাকবে। সারা দেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।”
“আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সকল, ১৬ কোটি, মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনব। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা,” বলেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমানসহ বিভাগের অন্যান্য দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্নমেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্যান্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ওয়াই-ফাই চালু করা হবে। প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনে তার অধিক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।