ডেস্ক নিউজ
সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ১১৬ কোটি ডলারের বিনিয়োগ আশ্বাস পাওয়া গেছে।
‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের আউটকাম ডিক্লারেশনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেয় এর যৌথ আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই।
সোমবার ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এতে আরও জানানো হয়, একটি চায়নিজ কোম্পানি অবকাঠামো খাতে একাই এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৩টি দেশের ২০টি কোম্পানি যৌথভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আবার কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ২৬টি পণ্য আমদানি করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘অবকাঠমো, ওষুধ, ছাতা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫টি দেশের (চীন, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভারত) উদ্যোক্তারা সরাসরি বিনিয়োগের বিষয়ে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
‘জ্বালানি, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, দুগ্ধজাত পণ্য, চামড়া, তৈরি পোশাক, এফএমসিজি, পাট, অটোমোবাইল খাতেও বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন উপযুক্ত স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রায় ১০টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে, বাকিগুলোর উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বড় ধরনের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত।’
বাণিজ্যসচিব বলেন, করোনা-পরবর্তী বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অর্জিত সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে এই সম্মেলনে। বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জনের জন্য যে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে সেটি তুলে ধরা হয়েছে।
দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন ধরনের যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, বিনিয়োগের জন্য যেসব আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে সেগুলো যে সহজীকরণ হয়েছে, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত সেবা মিলছে, একইভাবে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে সুরক্ষা দিচ্ছে, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ-এর মতো চুক্তি করে বাণিজ্যসুবিধা আদায়ে সরকারের প্রস্তুতিও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সহসভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।