ডেস্ক নিউজ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, করোনার কারণে আমরা সঠিক সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। যাচাই-বাছাই প্রায় সম্পূর্ণ। আমরা আশাবাদী আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে পারবো। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আগের তালিকা থেকে ৫ থেকে ৭% বাদ পড়তে পারে এবং নতুন করে কিছু সহযোজন হতে পারে। এ তালিকা থেকে যারা বাদ যাবে তাদের আপিল করারও সুযোগ থাকবে। একই সঙ্গে আমরা আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আর সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিকবান্ধব সরকার। ইতিমধ্যে আমরা ১২ হাজার সাংস্কৃতিক কর্মীকে অনুদান দিয়েছি। কোভিড-১৯ এর পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংস্কৃতিক অঙ্গন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। সব মিলিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আমাদের সংস্কৃতির পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
পরে তারা মুজিবনগর মোটেলে প্রস্তাবিত মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন(২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন।
মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র (২য় পর্যায়) স্থাপনের বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের জন্য আজকে জায়গা পরিদর্শন করবো। জমি অধিগ্রহণের জন্য আলোচনার ভিত্তিতে মুজিবনগরবাসীর কথা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কিভাবে কি করা যায়। তাছাড়া লেক কোথায় হবে, রাইডস কোথায় বসানো হবে সকল কিছুর ম্যাপ আমাদের তৈরি করা হয়েছে। মূলত সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ও জনগণের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে যাতে আমরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে তালিকা প্লানিং কমিশনে পাঠাতে পারি সেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি।
পরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যোগ দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন এমপি ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, স্থাপনা অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক আসিফুর রহমান ভুঁইয়া, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহিন, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার প্রমুখ।