ডেস্ক নিউজ
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি চালুর কারণে ভোগান্তি কমেছে। কয়েকদিন ফেরি কম থাকায় যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি ছিল চরমে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেয়েছেন যাত্রীবাহী বাসের চালকরা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার পার করার কারণে অপচনশীল দ্রব্যের ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলোকে অপেক্ষা করতে হতো প্রায় দুই দিন।
গতকাল গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অপচনশীল দ্রব্যের শতাধিক ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরি পারের অপেক্ষোয় রয়েছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে কোনো যাত্রীবাহী বাস নেই ফেরি পারের অপেক্ষায়। অন্যদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে নেই কোনো গাড়ির সিরিয়াল। ট্রাফিক পুুলিশের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাড়িকে সোজা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষমাণ ট্রাকচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০টি ফেরি চালু থাকায় ভোগান্তি অনেক কমেছে। আমাদের ট্রাকে কোনো পণ্য নেই তাই সিরিয়ালে যেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে ফেরি পার হতে পারছেন এসব ট্রাকের চালকরা।’ বাসচালক রাসেল শেখ বলেন, ‘দৌলতদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করার কারণে ভোগান্তি এমনিতেই আমাদের কম হতো। বর্তমানে ২০টি ফেরি চালু থাকায় ভোগান্তি শূন্যের কোঠায়।’ এ রুটে সব সময় ২০টি ফেরি চালু থাকার দাবি জানান তিনি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলছে। এগুলো চালু রাখা গেলে এ রুটে কোনো সমস্যা থাকে না। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সব সময় ২০টি ফেরি চালু রাখা সম্ভব হয় না। বর্তমানে এ রুটে ১২টি রো-রো ফেরি ও ৮টি ছোট ফেরি চলছে।