ডেস্ক নিউজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে নির্মাণ করা হবে ‘শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ’।
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শতবার্ষিক এ স্মৃতিস্তম্ভের স্থাপত্য নকশা নির্বাচন করা হয়েছে বলে শনিবার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত জুরি বোর্ড নকশাটি নির্বাচন করে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যেগুলোর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শতবার্ষিক এ স্মৃতিস্তম্ভের বেদির আয়তন সাত হাজার ২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট), মূল স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি ‘হিস্ট্রি প্যানেল’ নির্মাণ করা হবে।
ঢাবিতে মুক্তবুদ্ধির চর্চা বজায় থাকবে, প্রত্যাশা প্রাক্তনদের
বাংলাদেশের ‘কৃতিত্বের সিংহভাগ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
পূর্বপুরুষদের পথে হাঁটুন: ঢাবি শিক্ষকদের মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব কুর্ণিশ জানায়: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
মেধাবীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি বাড়বে, আশা স্পিকারের
আগামীর যাত্রাপথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্বের ভূমিকায় চান রাষ্ট্রপতি
শতবর্ষ উদযাপনে বর্ণিল সাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে।
স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য মল চত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানসহ আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্তি ও উদারতা’ শীর্ষক শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
“এই স্মৃতিস্তম্ভে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। যুগে যুগে এটি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদারনৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশে (আইএবি) এর সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বক্তব্য দেন।