ডেস্ক নিউজ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তবে জানা গেছে, মূলত বছরের শেষে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন ও সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সভা-সমাবেশের নামে দেশব্যাপী মহড়া দিতে চায় বিএনপি। ক্ষমতাসীন সরকারকে নিজেদের দাবির বিষয়ে কঠোর বার্তা দিতে এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে বিএনপির এই আয়োজন। তবে বিএনপির সভা-সমাবেশের ঘোষণা নতুন করে দেশবাসীর মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক ও অস্বস্তি সৃষ্টি করবে বলে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একাধিক দায়িত্বশীল গোপন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য পুলিশের কাছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। তবে অনুমতি না পেলেও রাজধানীর দুটি পয়েন্টে জোরপূর্বক সমাবেশের নামে মিছিল-মিটিং ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে দলটির একটি অংশ।
জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মতো নেতারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার পক্ষে মতামত দিলেও মির্জা আব্বাস, রিজভী আহমেদ ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মতো নেতারা বিএনপির দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ব্যাপক শক্তিমত্তা প্রদর্শন ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি দূর করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
৩০ তারিখে বিএনপির দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের অন্তরালে বিশৃঙ্খলার গোপন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সমাবেশ করতে চাই। মূলত ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করে রাজপথে ফেরানোর জন্যই আমরা বছর শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। তবে আমাদের টার্গেট হলো, নেতা-কর্মীদের জেল-জরিমানা, আতঙ্ক দূর করা। এটার জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করবো। সিনিয়ররা রাজি না হলেও তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করব।