ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার ‘স্টার্ট আপ ফান্ড’ নামে একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে।
এ তহবিল থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য কম সুদে, সহজ শর্তে ও জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোকে এ তহবিলের আওতায় দ্রুত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ তহবিল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে। ৫ বছর মেয়াদি এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ এক বছর। নতুন নতুন উদ্যোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পণ্য উৎপাদন খাতে ঋণ অগ্রাধিকার পাবে। ২১ থেকে ৪৫ বছরের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন। কোনো ঋণখেলাপি ঋণ পাবেন না। সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা ঋণ দেওয়া যাবে।
ঋণের অর্থ একসঙ্গে দেওয়া যাবে না। তিনটি কিস্তিতে দিতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিলে শুরুতে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যাবে না। তবে গ্রাহকের প্রয়োজন হলে ঋণের পরিমাণ আরও এক কোটি টাকা বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি জামানত দিতে হবে না। গ্রাহকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, শিক্ষাগত বা কারিগরিক শিক্ষা সনদ জামানত হিসাবে গ্রহণ করা হবে। মোট তহবিলের ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এ তহবিল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে আরও সাড়ে তিন শতাংশসহ সর্বোচ্চ চার শতাংশ আদায় করতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংক ইচ্ছা করলে এর চেয়ে কম সুদে ঋণ দিতে পারবে। এর বাইরে অন্য কোনো সুদ বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। কোনো ব্যাংক এ তহবিল ব্যবহারের অনিয়ম করলে তাদেরকে আরও দুই শতাংশ হারে জরিমানা করা হবে।
প্রতিটি ব্যাংককে এ তহবিল পরিচালনার জন্য আলাদা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বছরে অর্জিত তাদের পরিচালনা মুনাফার কমপক্ষে এক শতাংশ অর্থ এ ফান্ডে স্থানান্তর করতে হবে। ২০০০ সালের অর্জিত মুনাফার এক শতাংশ অর্থ এ তহবিলে স্থানান্তর করতে এর কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে আরও পাঁচ বছরে অর্জিত পরিচালন মুনাফার এক শতাংশ হারে এতে স্থানান্তর করতে হবে।
তহবিলটি হবে ঘূর্ণায়মান। সুদসহ মূল ঋণ আদায় হলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ তহবিল থেকে ঋণ নিলে পুনঃঅর্থায়ন করবে।