৮৫ চিকিৎসক ও নার্সকে করোনা টিকা প্রয়োগের প্রশিক্ষণ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার থেকে এরা ঢাকা দক্ষিণের তিনটি হাসপাতালে টিকা প্রয়োগ করবেন।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।প্রশিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩০ জন ডাক্তার ও ৫৪ জন নার্সকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংক্রান্ত এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বুধবার থেকে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত করোনার টিকা দেয়া হবে। প্রত্যেককে দশমিক পাঁচ মিলিলিটার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ৮ সপ্তাহ পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি হাসপাতালে চার থেকে ৮টি টিম টিকা প্রয়োগ করবে।
করোনা টিকার একটি ভায়াল ১০ জনকে দিতে হবে ছয় ঘণ্টার মধ্যে। হাতের মাংসপেশির উপরিভাগে করোনা টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা দেয়ার পর প্রত্যেককে আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ জানান, টিকা দেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন চিকিৎসক।তিনি আরো জানান, টিকা প্রয়োগ ও এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে সিটি করপোরেশন।
পর্যায়ক্রমে ঢাকার অন্যান্য হাসপাতালে প্রশিক্ষিত ২০০টি টিম তৈরি করা হবে। প্রতি টিমে দুইজন টিকা প্রয়োগকারী ও চার জন স্বেচ্ছাসেবী থাকবে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকা মহানগরীর পাঁচটি মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা বিধায় সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন ডাক্তার ও ৫৪ জন নার্সকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এই ভ্যাকসিন দুটি ডোজে দেয়া হবে। পয়েন্ট ফাইভ মিলিলিটারে প্রথম ডোজ প্রদানের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।