প্রবাদে আছে, “পানির অপর নাম জীবন”। পানি ছাড়া আমরা একদিনও চলতে পারি না। আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে পানির অনেক উৎস। নলকূপ, গভীর নলকূপ, জলমোটর ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করি। কিন্তু আপনি কি জানেন বিশ্বের অনেক শহর আজ পানি স্বল্পতায় ভুগছে? সেসব শহরের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, ধরা হচ্ছে আর কয়েক বছর পরেই সেখানে হয়তো প্রাকৃতিকভাবে আর কোনো পানি পাওয়া যাবে না।
আমরা সবাই জানি যে, পৃথিবীতে স্থলভাগের থেকে জলভাগের পরিমাণই বেশি; যা প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ। কিন্তু এত জল থাকা সত্ত্বেও পান করার মত জলের পরিমাণ কিন্তু মাত্র ৩ ভাগ। ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে, পৃথিবীর এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত এবং ২.৭ বিলিয়ন মানুষ বছরের অন্তত একটি মাস পানির অভাবে পড়ে। বর্তমান আধুনিক ৫০০টি শহরের চার ভাগের এক ভাগ শহরেই পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াটার স্ট্রেস’।
জাতিসংঘের একটি প্রকল্পের চালানো জরিপে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক পানির চাহিদা শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে যাবে। এর পেছনে মূলত দায়ী থাকবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন। আজ চলুন দেখা যাক বিশ্বের কোন কোন শহর অদূর ভবিষ্যতে পানিশূন্য হয়ে পড়বে।
সাও পাওলো:
অর্থনৈতিক দিক থেকে সাও পাওলোকে ব্রাজিলের রাজধানী হিসেবে ধরা হয়। জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়েও সাও পাওলো বিশ্বের ১০টি শহরের মধ্যে একটি। অধিক জনসংখ্যার জন্য এই শহরটিতে পানির চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। আর এই অতিরিক্ত চাহিদার ফলেই ২০১৫ সালে শহরটি ভয়াবহ পানি স্বল্পতার মুখে পড়ে। ভূগর্ভস্থ পানির আধার শতকরা ৪ ভাগের নিচে নেমে যায়। সেসময় শহরটিতে বসবাস করা ২১.৭ মিলিয়ন মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ২০ দিনের মতো পানি মজুদ ছিল। মানুষ যাতে পানির জন্য ডাকাতি এবং লুটতরাজ করতে না পারে, তাই পুলিশ গাড়িতে করে পানি সরবরাহও করেছিলো।
যদিও সরকারিভাবে বলা হয়েছে, খরার জন্য ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই পানি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে, তবে সেখানে পরিচালনা করা জাতিসংঘের মিশন থেকে জানা গিয়েছে যে, উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের অভাবেই এই অবস্থা এতটা শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আরেকটি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, সাও পাওলোর ভূগর্ভস্থ পানির আধার পুনরায় ১৫% এর নিচে নেমে এসেছে, যার ফলে শহরটির পানির ভবিষ্যৎ অনেকখানিই আশঙ্কাজনক।
বেঙ্গালুরু
ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত বেঙ্গালুরু শহরটি বর্তমানে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে উন্নত এই শহরটিতে বেড়ে চলেছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। বেড়ে চলেছে কলকারখানা, শিল্পকারখানা এবং গড়ে উঠছে নিত্যনতুন ভবন। কিন্তু এসবের পাশাপাশি সেখানে বেড়ে চলেছে ব্যবহারযোগ্য পানির স্বল্পতাও।
বর্তমানে অতিরিক্ত কলকারখানা এবং ভবনের জন্য পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে বেঙ্গালুরুর কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এই করুণ অবস্থার পেছনে আরেকটি কারণ হলো শহরটির মান্ধাতার আমলের পানি সরবরাহ ও ব্যবহারের পদ্ধতি, যা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ সরকারিভাবে একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, অপরিকল্পিত ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ফলে শহরটি তার ব্যবহারযোগ্য পানির অর্ধেকটাই নষ্ট করে ফেলছে।
চীনের মতোই ভারতে পানি দূষণ বেশি। শুধু বেঙ্গালুরু শহরটিতে থাকা জলাশয়গুলোর শতকরা ৮৫ ভাগে পানি থাকা সত্ত্বেও সেগুলো শুধু সেচ এবং শিল্প-সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়। ফলে পান বা গোসল করার মতো উপযুক্ত একটি জলাশয়ও আর বাকি নেই।
বেইজিং:
বিশ্বব্যাংকের মতে, যখন কোনো নির্দিষ্ট স্থানে মাথাপিছু পরিষ্কার পানির সরবরাহ বছরে ১,০০০ ঘন মিটার থেকেও কমে যায় তখন সেখানে পানির স্বল্পতা রয়েছে বলে ধরা হয়। ২০১৪ সালে বেইজিং এর প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের জন্য মাথাপিছু পানির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪৫ ঘনমিটার! বর্তমান বিশ্বের প্রায় ২০% মানুষই চীনে বসবাস করে, কিন্তু সেখানে ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমাণ মাত্র ৭%।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপ থেকে দেখা গিয়েছে যে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে চীনের ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ শতকরা ১৩ ভাগ কমে গিয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার পাশাপাশি পানিদূষণও যার একটি কারণ। ২০১৫ সালের সরকারি একটি জরিপ থেকে জানা গিয়েছে, বেইজিং এ যেসব জলাশয় রয়েছে সেগুলোর পানি দূষণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে তো নয়ই, সেগুলো শিল্প কারখানায়ও ব্যবহারের উপযোগী নয়।
কায়রো:
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জনপদ ও সভ্যতা তৈরির পেছনে যে নদটির অবদান রয়েছে তা হলো নীল নদ। কিন্তু বর্তমানের এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে নীল নদ যারপরনাই ক্ষতি ও দূষণের মুখে।
মিশরের শতকরা ৯৭ ভাগ পানির মূল উৎস হলো এই নীল নদ। কিন্তু বর্তমানে তা যাচ্ছেতাই ভাবে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি আবাসিক বর্জ্যের গন্তব্যস্থানও হচ্ছে এই নীলনদ। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার এক জরিপেও দেখা গিয়েছে, বিশ্বের মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে মিশরেই পানি দূষণে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি বেশ বড়সড় পানি স্বল্পতার মুখে পড়বে।
জাকার্তা:
অধিকাংশ উপকূলীয় স্থানের মতো ইন্দোনেশিয়ার বৃহৎ রাজধানী জাকার্তায়ও সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাকার্তায় এই সমস্যার বড় আকার ধারণ করার পেছনে মূল হাত রয়েছে সেখানকার অধিবাসীদেরই। সেখানে ১০ মিলিয়ন বসবাসকারী মানুষের অর্ধেকের জন্যই পানির সুব্যবস্থা নেই। যার ফলে যত্রতত্র বেআইনীভাবে কুয়া খোঁড়া হচ্ছে। এতে ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো তো নিঃশেষ হয়েই যাচ্ছে, পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ দ্বারা স্থলভূমিগুলোও প্লাবিত হচ্ছে।
ফলস্বরূপ, বিশ্বব্যাংকের মতে, বর্তমানে জাকার্তার শতকরা ৪০ ভাগই সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থান করছে। বর্তমানে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে উঠেছে, কারণ ভারী বর্ষণের ফলেও ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো পূর্ণ হতে পারছে না। এর পেছনে রয়েছে কংক্রিট ও পিচের প্রাদুর্ভাব যেগুলো বৃষ্টির পানি শোষণ করে নিচ্ছে তা ভূমির নিচে যাওয়ার আগেই।
মস্কো:
বিশ্বের ব্যবহারযোগ্য পানির চার ভাগের একভাগই রয়েছে রাশিয়ায়। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, রাজধানী মস্কোতেই সৃষ্টি হয়েছে পানি স্বল্পতার। এর পেছনে মূল কারণ হলো দেশটির দূষণ সমস্যা। যার শুরুটা হয়েছিলো সোভিয়েত আমলে শুরু হওয়া শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে।
মস্কোর জন্য সমস্যাটা অনেকখানি দুশ্চিন্তার। কারণ মস্কো তার পৃষ্ঠতলের জলভাগের উপরেই ৭০% নির্ভর করে থাকে। সেখানকার সরকারী কর্মকর্তারা স্বীকারও করেছেন যে, রাশিয়ার ৩৫% থেকে ৬০% জলাধারের পানীয়জল স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী নয়।
ইস্তাম্বুল:
ইস্তাম্বুল ওয়াটার এন্ড স্যুয়েরেজ অথোরিটি’র মতে, দেশটি বর্তমানে ‘ওয়াটার স্ট্রেস’-এ ভুগছে। কারণ সেখানকার জলাধারগুলোয় মাত্র ২৯.৮% পানি মজুদ রয়েছে। ২০১৪ সালের এক খরায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে, সেখানে মাত্র ১০০ দিনের মতো পানি মজুত ছিল। ২০১৬ সালে এসে ইস্তাম্বুলে মাথাপিছু পানির পরিমাণ ১,৭০০ ঘন মিটারের নিচে নেমে এসেছে।
২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। কারণ বর্তমান বছরগুলোর শুষ্ক মাসগুলোতেই ইস্তাম্বুলের প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষ পানির অভাবে ভোগেন। তাই যথাযথ ব্যবস্থা এখনই গ্রহণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে ইস্তাম্বুলকে যে মারাত্মক পানির সংকটে ভুগতে হবে তা বলাই বাহুল্য।
মেক্সিকো সিটি:
পানি স্বল্পতার মত সমস্যা খুব একটা নতুন নয় মেক্সিকো সিটির ২১ মিলিয়ন মানুষের কাছে। এখানে প্রতি ৫ জন ব্যক্তির একজন মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য ট্যাপ থেকে পানি পেয়ে থাকেন, তা-ও আবার প্রতি সপ্তাহে। অর্থাৎ শতকরা ২০ ভাগ মানুষ দিনের একটি ভাগে পানি পেয়ে থাকেন।
কিন্তু শতকরা ৩০ ভাগ গরীব পরিবার পরিষ্কার পানি থেকে প্রায় বঞ্চিতই বলা চলে। মাঝে মাঝে তারা যে পানি ট্যাপ থেকে পেয়েও থাকেন দেখা যায়, সেগুলো শুধু তরল কাদা ছাড়া আর কিছু নয়। শহরটির অধিবাসীরা প্রায় ৪০% পানি দূরের বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহ করে। ২ মিলিয়নের অধিক মানুষ হাজারের কাছাকাছি ট্রাকে করে আনা পানি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তবুও গোসল, জামাকাপড় ও থালাবাসন পরিষ্কার, রান্নাবান্না ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই সরবরাহ করা পানিরও স্বল্পতা দেখা দেয়। এই পানি অনেক সময় পান করারও উপযুক্ত হয় না। তাই বেশিরভাগ মানুষকেই বোতলজাত ও পরিশুদ্ধ পানি কিনে খেতে হয়।
লন্ডন:
লন্ডনের নাম শুনলে কখনোই কারো মাথায় পানি স্বল্পতার কথা আসে না। কিন্তু সত্যিটা হলো সেখানেও পানি স্বল্পতা রয়েছে। লন্ডনে বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় ৬০০ মিলিমিটার, যা পরিমাণে প্যারিসের থেকে একটু কম এবং নিউ ইয়র্কের তুলনায় অর্ধেক। লন্ডন তার টেমস এবং লি নদী থেকেই শতকরা ৮০ ভাগ পানি ব্যবহার করে থাকে।
লন্ডনের কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরটি তাদের পানি মজুদের শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে যা মারাত্মক পানি স্বল্পতায় রূপ নিবে।
টোকিও:
জাপানের রাজধানী টোকিওর বৃষ্টিপাতের জন্য বেশ সুনাম রয়েছে। বছরে চার মাস সাধারণত এখানে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। কিন্তু এই বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখতে হয়। কারণ ৪ মাসের একটু কম সময় ধরে কখনো বৃষ্টি হলে সেটাই বাকি ঋতুতে খরা বয়ে আনার জন্য যথেষ্ট।
টোকিওর অন্তত ৭৫০ ব্যক্তিগত এবং সরকারী ভবনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং তা ব্যবহারের উপযোগী করার নিজস্ব পদ্ধতি চালু রয়েছে। প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের এই শহরটির ৭০% নির্ভর করে থাকে তার স্থলভাগের জলাশয়ের উপর। এগুলো হলো বিভিন্ন নদ, নদী এবং গলিত তুষার। বর্তমানে পানির অপচয় রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবুও তা ভবিষ্যতে মাত্র ৩% পানির অপচয় রোধ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেপ টাউন:
কেপ টাউন হলো বিশ্বের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ। তবে এটিই আবার হতে পারে পানিশূন্য হয়ে যাওয়া বিশ্বের সর্বপ্রথম কোনো শহর। কারণ সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়েছিলো, মার্চ মাস আসতে না আসতেই এই শহরের পানি শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে সেটা পিছিয়ে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত করা হয়েছে।
কেপ টাউনের এই দূরাবস্থার মূল কারণ হলো প্রায় লাগাতার তিন বছরের স্বল্প বৃষ্টিপাত এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা। স্থানীয় সরকার পানির এই সমস্যার সাথে লড়াই করতে সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রের পানি পানযোগ্য করার পদ্ধতি চালু, ভূগর্ভস্থ পানি সংগ্রহের প্রকল্প এবং ব্যবহার করা পানিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা ইত্যাদি।
এর সাথে কেপ টাউনের ৪ মিলিয়ন মানুষকে বলা হয়েছে পানি সংরক্ষণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে। একদিনে ৮৭ লিটারের বেশি পানি ব্যবহার না করতেও বলা হয়েছে। গাড়ি ধোয়া এবং সুইমিংপুল পানিপূর্ণ করার উপরেও জারী করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সফরকারী ভারতীয় ক্রিকেটদলের সদস্যদেরও বলা হয়েছিলো তারা যাতে দু’মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল না করেন। তারা এমনকি মে মাসের ১১ তারিখকে ‘ডে জিরো‘ হিসেবে ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ এই দিনে তাদের সকল প্রকার পানির সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হতে পারে। তাই এসব থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, কেপ টাউন মারাত্মক পানি স্বল্পতায় ভুগছে এবং ভূগোলবিদগণ মনে করছেন এই শহরটিই পৃথিবীর সর্বপ্রথম পানিশূন্য শহরে পরিণত হয়ে যাবে।
Source: Internet, Featured Image: atimes.com