নিজস্ব প্রতিবেদক:
অদৃশ্য ক্ষমতার বলে অবৈধ ভাবে কেটে ফেলা হলো নাটোরের বাহাদুর শাহ পার্কের দেড় যুগের তাজা বকুল গাছ। বুধবার দুপুরে শহরের শহরের পিলখানা এলাকায় অবস্থিত নাটোর পৌর সভার প্রথম পার্কের মধ্যে দেড় যুগ ধরে বেড়ে ওঠা তাজা বকুল গাছটি কেটে ফেলে দিলেন স্থানীয় ঠিাকাদার ও নাটোর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি অনিমা জুয়েলাসের মালিক দুলাল কর্মকার। এদিকে বকুল গাছ কাটা ক্ষোভ দেখো দিয়ে এলাকাবাসী ও স্বর্ণকার পট্রিতে কর্মরত হাজারো স্বর্ণ কারিগর। তবে গাছ কাটার বিষয়ে নাটোর পৌরসভার মেয়র কোন কিছুই জানেন না বলে জানান। নাটোর পৌরসভা সুত্রে ও এলাকারবাসীর তথ্য মতে জানা যায়, ১৮৬৯ সালে নাটোর পৌরসভা গঠিত হওয়ার পরে নাটোর শহরের শিশুদের বিনোদনের জন্য কোন ব্যাবস্থা না থানায় পৌর কতৃপক্ষ শহরের পিলখানা এলাকায় বাহাদুর শাহ পার্ক নির্মান করেন। এরপর থেকে তা এলাকার শিশুদের সাথে সাথে এলাকারবাসীরও বিনোদনের একমাত্র আশ্রয় নিহসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর দেশ স্বাধীরন হওয়ার পর পার্কটি প্রায় নষ্ঠ হয়েং গেলে তৎকালীন পৌর কতৃপক্ষ তা পুনরায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। এরপর থেকে পার্কটি পার্ক হিসেবেই ব্যাবহার হতে থাকে। পরবর্ত্তিতে নাটোর ২০০২ সালে নাটোর পৌর কতৃপক্ষ পার্কটির এক সাইড নষ্ট করে সেখানে মার্কেট নির্মান করেন। বর্তমানে যা ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার কাজে চলমান রয়েছে। এরপর গত বছর পৌর কতৃপক্ষ পার্কের বাকী অংশেও মার্কেট নির্মান করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাতে বাঁধা দেন। পার্কটি নষ্ট না করার জন্য জনস্বার্থে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এলাকাবাসী। কিন্তু সেই মামলাটি খারিজ হয়ে গেলে সেখানে পৌর কতৃপক্ষ মার্কেট নির্মানের অনুমতি পায়। অনুমতি পেয়ে পৌর কতৃপক্ষ মার্কেট নির্মানের টেন্ডার দাখিল করেন। প্রায় এক কোটি টাকার সেই টেন্ডারে কাজ পান ঠিকাদার মির্জা খোকন নামে এক ব্যাবসায়ী। এরপর সেই মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করেন তারা। এ বিষয়ে নাটোর পৌর সভার মেয়র উমা চৌধুরী জলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মার্কেট নির্মানের জন্য যে পরিমান জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে সেই স্থানের গাছ ঠিকাদার কারতে পারে। কিন্তু এর বাহিরে কোন গাছ ঠিকাদার কাটতে পারেনা। তিনি নিজেও স্থান নির্ধানরের সময় পার্কের তাজা বকুল গাছটি দেখেছিলেন। সেই সময় তিনিও সকলকে বলেছিলেন গাছটি যেন কাটা না হয়। এর বাহিরে পার্কের যে গাছগুলো কাটা হবে সেই গাছ বিক্রি করে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ আর মন্দিরে টাকা দান করতে বলা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের কাছে ঠিকাদারের নাম জানতে চাঁওয়া হলে তিনি বলেন, কাগজে কলমে ঠিকার মির্জা খোকন কিন্তু তিনিও শুনেছেন মির্জা খোকনের কাছ থেকে মার্কেট নির্মানের কাজটি কিনে নিয়েছেন স্থানীয় ঠিাকাদার ও নাটোর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি অনিমা জুয়েলাসের মালিক দুলাল কর্মকার। যদিও তা আইন মোতাবেক করা যায়না। তিনি আরো বলেন বকুল গাছটি কাটার বিষয়ে তিনি ঠিকাদার দুলাল কর্মকারের সাথে কথা বলেছেন। ঠিকাদার তাকে জানিয়েছেন তাদের কাজের সুবিধার্থে তিনি বকুল গাছটি কেটেছেন। বিষয়টি তিনি যেন ম্যানেজ করে নেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার ও নাটোর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি অনিমা জুয়েলাসের মালিক দুলাল কর্মকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি গাছটি কেটেছেন তার কাজের সুবিধার্থে। আর একটি বকুল গাছ কাটতে কারো কাছ থেকে তার অনুমতি নিতে হবে বলে মনে করেন না তিনি। বাহাদুর শাহ পার্কে মার্কেট নির্মানের কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদার মির্জা খোকন নামে এক ব্যাবসায়ী কিন্তু সেই কাজটি আপনি নিজে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মির্জা খোন তার ঠিকাদারী কাজের পার্টনার। তারা একসাথেই ঠিকাদারী কাজ করেন। তাজা বকুল গাছ কেটে তিনি তার ঠিকাদারী কাজের সুবিধা করবেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা তার ব্যাবসা। ঠিকাদারী কাজে সেখানে অনেক মালপত্র রাখতে হবে সেই কারনে তিনি সব গাছ সহ সকল কিছিু পরিস্কার করে নিয়েছেন।