নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামে পুরোদমে এগিয়ে চলছে সরকারের অন্যতম মেঘা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ। মাটি খনন করে রিং বসানোর পাশাপাশি নদীর উভয় পাশে দ্রুত গতিতে চলছে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার লম্বা টানেলের ৪৪০ মিটার ইতিমধ্যে খনন করে রিং বসানো হয়েছে। পতেঙ্গা প্রান্তে এখন মাটির নিচে প্রতিদিনই চলছে খননকাজ। চার লেনবিশিষ্ট সড়ক টানেলের খননকাজ এগিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হয়ে আনোয়ারা প্রান্তের দিকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্ণফুলী টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। এ টানেল মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সারা দেশের সড়কপথে যোগাযোগ সহজ করবে। আবার টানেলের কারণে সহজ যোগাযোগের ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামেও নতুন নতুন আরও শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। এরই মধ্যে টানেলকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও বাঁশখালী উপজেলায় নতুন নতুন কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করছেন উদ্যোক্তারা।
দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এই টানেল তৈরির কাজ। চীন থেকে সেগমেন্ট (টানেলের রিং তৈরির উপাদান) এনে রাখা হয়েছে একটি চত্বরে। টানেল বোরিং মেশিন বা টানেল খননযন্ত্রে খনন করার পর এই সেগমেন্ট জোড়া লাগিয়ে রিং বানানো হচ্ছে। খনন করার পরপরই সেখানে রিং বসানো হচ্ছে। টানেলটি পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপারে গিয়ে উঠবে। প্রকল্প পরিচালক জানান, পতেঙ্গার পাশাপাশি আনোয়ারায় টানেলের বহির্গমন পথেও কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, মূল টানেল লম্বায় ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে গাড়ি আসা-যাওয়ার জন্য থাকবে দুটি আলাদা টিউব। প্রতিটি টিউব লম্বায় ২ দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার। এখন একটি টিউব তৈরির কাজ চলছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৪২ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল নির্মিত হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে টানেলের দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির কাজও।
এদিকে টানেরকে কেন্দ্র করে এখনই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পকারখানার স্থাপনের জন্য জমি কিনতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ পরিকল্পনা করছেন। আনোয়ারায় এখন কোরিয়ান ইপিজেড রয়েছে।