ডেস্ক নিউজ
ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে ‘আমরণ অনশনে’ নেমে তা সফল করেছেন বিবাহিত ছাত্রদল নেতারা। ৩০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে শুরু করে ১ নভেম্বর পর্যন্ত অনশন করেন ছাত্রদল নেতারা। তারা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অনশন চালাচ্ছিলেন। ফলে অফিসবন্দি ছিলেন দলটির আবাসিক নেতা খ্যাত রুহুল কবির রিজভী।
অনশনরত বিবাহিত সাবেক ছাত্রদল নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলেও তাদের এই বিক্ষোভে সবচেয়ে ভয়ে ছিলেন রুহুল কবির রিজভীই। কেননা, এর আগে ছাত্রদল নেতাদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার ক্ষেত্রেই তিনিই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন।
সূত্র বলছে, ছাত্রদলের বিবাহিত নেতারা নয়া পল্টন পার্টি অফিসের সামনে অবস্থানকালে একবারের জন্যও বাইরে দেখা যায়নি রিজভীকে। বিগত সময়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে তিনি মূলত বাইরে বের হচ্ছিলেন না বলেও জানা যায়। এমনকি বিবাহিত নেতাদের দাবি না মানলে পার্টি অফিসেও হামলা হতে পারে বলে গুঞ্জনে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে তিনি স্কাইপে সরাসরি তারেক রহমানের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এবং ঘটনা সম্বন্ধে ধারণা দিলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে বিবাহিতদের পদে রাখার জন্য অনুমতি দেন।
জানা গেছে, অনশনরত নেতার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন- কিছু কুচক্রী নেতাদের কারণে তাদের মূল্যায়ন হচ্ছিলো না। আমরা জানি তারা কারা। বিবাহিতরা ছাত্রদলের কাউন্সিলে অংশ নিতে পারবে না বলে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা আর কারো কথা শুনতে চাই না, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক হিসেবে তারেক রহমানই আমাদের বিষয়ে একমাত্র কথা বলার অধিকার রাখে। অন্যকেউ এ নিয়ে কথা বলতে এলে তা মোটেই মেনে নেব না। এর প্রেক্ষিতেই তাদের দাবি তারেক রহমানের কাছে উপস্থাপন করার পর বিবাহিতদের ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখার অনুমতি দেন।