ডেস্ক নিউজ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে এ শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সেখানে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ হাইকমিশনে এ বই খোলা হয়। প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানির প্রতি সম্মান জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শোক বইয়ে স্বাক্ষরের পর রানির সঙ্গে তাঁর সুখ স্মৃতিচারণা করেন।
শোক বইয়ে শেখ হাসিনা লিখেছেন, বাংলাদেশে রানির সফরের স্মৃতি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাঁর মমতা ও স্নেহপূর্ণ বাণী আমরা সবসময় লালন করব। তাঁর বিদায়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন অভিভাবক ও পরামর্শককে হারালাম। বাংলাদেশের সরকার, জনগণ ও নিজের পক্ষ থেকে রানির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি আরও লেখেন, মহামহিম রানি ৭০ বছর ধরে কমনওয়েলথ ও সারা বিশ্বের জন্য মর্যাদা, সেবা ও প্রজ্ঞার অবিচল প্রতীক হিসেবে ছিলেন। রানির বিদায়ের অপূরণীয় ক্ষতিতে যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণ, রাজত্ব ও কমনওয়েলথের সঙ্গে মিলে আমরা শোক প্রকাশ করছি। রানির বিদেহি আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে পৌঁছালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন তাঁকে স্বাগত জানান। রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাইকমিশনে যাওয়ায় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রথমবারের মতো ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে সৌজন্য সফরে গেলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ।