ডেস্ক নিউজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’
বাঙালি জাতি ও বঙ্গবন্ধু যেন এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা। এই মেলবন্ধনই তাকে জেল-জুলুম, ফাঁসির কাষ্ঠ- সবকিছু তুচ্ছ করে কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রেরণা জুগিয়েছিল।
আর তাই তো বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে, ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা। আর এ জন্যই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একান্তভাবেই অবিচ্ছেদ্য।
বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন তার স্বাধীনতা। আর এ স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, সার্থক রূপকার, স্থপতি ও অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মূলত এই ভূখণ্ডের মানুষ প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ পায় ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালি জাতির রাজনৈতিক যে ইতিহাস, তা বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদয়ের ইতিহাস।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহানায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অধিষ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস। বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান ও স্বপ্ন।
এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যে অমিত সাহস, দূরদৃষ্টি, পরিপক্বতা ও প্রখর ব্যক্তিত্ব দরকার ছিল, সেসব অনন্য বৈশিষ্ট্যের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে। বঙ্গবন্ধু নিজের মধ্যে লালন করতে থাকেন স্বাধীনতার স্বপ্নকে।
তারপর আস্তে আস্তে এ স্বপ্নকে তিনি ছড়িয়ে দেন পুরো জাতির মধ্যে। ১৯৪৭ সালের পরই তিনি বুঝতে পারেন, বাঙালিরা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে পারবে না।
পাকিস্তানের সঙ্গে থাকলে প্রতিনিয়ত শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে বাঙালি জাতিকে থাকতে হবে নতজানু হয়ে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, সে স্বপ্নকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু আস্তে আস্তে তার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।
১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন এবং এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের স্বাধীনতা।
১৯৭১-এর ৭ মার্চ রেসকোর্সের স্মরণাতীতকালের বৃহত্তম জনসভায় বঙ্গবন্ধু উদাত্ত কণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা এবং প্রয়োজনে সশস্ত্র সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ওই রাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের আগে গভীর রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এর ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে প্রবল পরাক্রমশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্মলাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাধীন স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলেন।
পাকিস্তানি বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও নীতির ফলে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড ছাড়া বাংলাদেশের বলতে গেলে তখন আর কিছুই ছিল না।
দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো হয়ে পড়েছিল বিপর্যস্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা- সবকিছুই তখন ছিল বন্ধ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বঙ্গবন্ধু নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যেই দেশ পুনর্গঠনে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ, পুরো দেশবাসীকে এ কাজে উজ্জীবিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেয়া পদক্ষেপগুলো অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে।
পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন, ধ্বংসপ্রায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্গঠন, দক্ষ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সুদৃঢ়করণে পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষা সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, কৃষি সংস্কার, আদমশুমারি ইত্যাদি ছিল বঙ্গবন্ধুর উল্লেখযোগ্য কর্মপ্রয়াস।
বঙ্গবন্ধু দেশের শাসনভার গ্রহণ করে বুঝতে পারেন, যে দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, সেদেশে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এ জন্য তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি অবকাঠামো পুনর্নিমাণ, কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষিপণ্যের ন্যূনতম ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, বকেয়া কৃষিঋণ মওকুফ, নামমাত্র মূল্যে কৃষিবীজ সরবরাহ- এমন নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে গণমানুষের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বিরামহীনভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন, তেমনি দেশ পুনর্গঠনের সময়ও তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অব্যবহিত পরই ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাবনার নগরবাড়ীতে আসেন বন্যা প্রতিরোধ, পানি নিষ্কাশন ও কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে গৃহীত সমন্বিত পাবনা প্রজেক্ট উদ্বোধন করতে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বন্যা প্লাবিত জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব এবং এ অঞ্চলের লাখ লাখ একর জমিতে ফসল আবাদের সুবিধার জন্য বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে যমুনা ও বড়াল নদীতে বাঁধ দেয়ার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন, যেটি বর্তমানে স্থানীয়ভাবে ‘মুজিব বাঁধ’ নামে পরিচিত।
আমি তখন নগরবাড়ী সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ধোবাখোলা করোনেশন (নাটিয়াবাড়ি) উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আমার সেদিন সৌভাগ্য হয়েছিল নগরবাড়ীর সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে জাতির পিতাকে একটু দেখার এবং তার ভাষণ শোনার।
এ দিন তিনি তার ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো নারীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত করেন। তিনি তার ভাষণে আরও বলেন, ‘পঁচিশ বিঘা যাদের জমি আছে, পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত তাদের খাজনা, মনে আছে আপনাদের বলেছিলাম এইখানে যে, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত মাফ হয়ে যাবে। মাফ করে দিছি, আর খাজনা দিতে হবে না। তবে ট্যাক্স দিতে হবে, না হলে জমির মালিকানা থাকা কষ্টকর হবে। ট্যাক্স, অন্যান্য যা ট্যাক্স আছে দিতে হবে। না হলে সরকার চালানো যাবে না। … আপনাদের কাজ করতে হবে। আপনাদের গ্রামে গ্রামে এই যে কোদাল ধরছি কেন আমি? পয়সা যদি আমার থাকত আমি বলতাম, দিলাম পয়সা চালাও কোদাল। পয়সা নাই বইলা আমি বলছি পয়সা নাই, আমিও কোদাল মারি, তোরাও কোদাল মার। আপনাদের যত রাস্তা, খাল এগুলো আপনাদের নিজেদের কাটতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এই ভাষণে আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পাওয়া যেমন কষ্টকর, স্বাধীনতা রক্ষা করাও তেমনি কষ্টকর। আজ স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি এ দেশের দুঃখী মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি গরিবের ওপর অত্যাচার-অবিচার হয়। স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি আমার সোনার বাংলা আবার না হাসে। স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি আমার ছেলেরাই কাজ না পায়। কিন্তু সময়ের প্রয়োজন। আসমান থেকে আসবে না যে আমি তাড়াতাড়ি আপনাদের সবকিছু দিবার পারব। আপনাদের সহ্য করতে হবে, কাজ করতে হবে, খাটতে হবে। আর আমি বলেছি, কৃষি বিপ্লব। আমার দুনিয়ার কাছ থেকে খালি খাবার কিনতে হবে, খালি খাবার কিনতে হবে। পারব না। খাবার তৈয়ার করতে হবে। আপনাদের গ্রামে গ্রামে ফসল উৎপাদন করতে হবে। আমি জানি বন্যায় নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পয়সা কোথায়? চেষ্টা করতেছি। স্বাধীন দেশ, আইনশৃঙ্খলা রাখতে হবে। এই দায়িত্ব যেমন সরকারের, এই দায়িত্ব তেমনি জনসাধারণের। আপনারা সকলে যেমন দস্যু পশ্চিম পাকিস্তানের পিশাচদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি করে গুণ্ডা-পাণ্ডা-বদমাইশদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
এভাবে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলার জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করে স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শকে সমুন্নত রেখে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের শত সমস্যাকে জয় করে বাংলাদেশকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করান; বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনাসদস্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সেদিন ঘাতক খুনি-চক্র এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতিকে। তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সব অর্জনকে, রাষ্ট্রের চার মূলনীতি ও সংবিধানকে।
সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সামরিক শাসকরা আইন করে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি বিল’ চাপিয়ে দিয়ে ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী এ হত্যাকণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের সব পথ রুদ্ধ করে দিল।
১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পুনর্বাসন করা শুরু হল। জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে সব নিয়ম ভেঙে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। উপরন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করা হল বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর এর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অবৈধ ‘ইনডেমনিটি বিল’ সংবিধান থেকে অপসারণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়।
শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বিচারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
শুধু তাই নয়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা তৎকালীন বিরাধীদলীয় নেতা আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা আহত হন এবং আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী প্রাণ হারান।
অতঃপর রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করলে বাঙালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়।
তবে বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করা আজ সময়ের দাবি।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে অগ্রগতি ও উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে চলেছেন।
আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বিক মুক্তির প্রতীক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে দেশের স্বার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। শোকের এই আগস্ট মাসে জাতির পিতার প্রতি রইল প্রাণঢালা ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী : উপাচার্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়