ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের টিকা দরকার আরও অন্তত ১৪ লাখ ডোজ। কারণ, যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল টিকার অভাবে তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশকে এই টিকা দেয়ার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চরম সংকটে, তখন স্বস্তির খবর আসল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ঢাকাকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
শুক্রবার দুপুরে এসএমএসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বলেছেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এসব টিকা দিচ্ছে। একই তথ্য দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
বাংলাদেশ করোনার গণটিকা শুরু করে অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা দিয়ে। ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনতে চুক্তি হয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি। এর বাইরে ভারত উপহার হিসেবে দিয়েছিল আরও ৩৩ লাখ।
মার্চের পর সিরাম থেকে টিকা না আসায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিকল্প উৎস খুঁজতে নামে সরকার। এর অংশ হিসেবে চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা আনার চেষ্টা চলছে।
অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশের আরও অন্তত ১৪ লাখ লাগবে। কারণ, যাদের সিরামের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল টিকার অভাবে
তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে দেখা করে টিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেদিন তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অতিরিক্ত রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি।’
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের বলেছে যে তারা আমাদের টিকা দেবে। তারা এখনও ঠিক করতে পারেনি যে তারা কতগুলো টিকা আমাদের সরবরাহ করতে পারবে। স্বভাবতই, আমাদের দিক থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে কত দ্রুত টিকা আনতে পারি।’
‘অবিলম্বে আমাদের কমপক্ষে ১৫ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োজন। তবে আমেরিকা থেকে প্রায় ২০ লাখ ডোজ চেয়েছি। আমি মনে করি, তারা আমাদের সম্মান করবে। দেখা যাক।’