কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) বহুতল আইকনিক অফিস ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কউকসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় কউকের বহুতল আইকনিক ভবন নির্মাণের জন্য ১ একর ২১ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর ৬ মে প্রধানমন্ত্রী ওই আইকনিক অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১১২ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা বরাদ্দে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। ২০২০ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে মেয়াদের পাশাপাশি আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়। ১১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা বরাদ্দে নির্মাণকাজ শেষে বেঁচে গেছে ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। রীতিমতো সরকারের কাছে এ অর্থ ফেরতও দিয়েছেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। যা কক্সবাজারের ইতিহাসে বিরল। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নকশা প্রণয়ন করে স্থাপত্য অধিদফতর। কউক ও গণপূর্ত অধিদফতর যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। কিন্তু কাজ শেষে সাশ্রয় হয় ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। তা সরকারি ফান্ডে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কউক ভবনে অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ভবনে মুক্ত বাতাস চলাচল নিশ্চিতকরণে ভেন্টিলেটরসহ ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি), নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার প্যানেল ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক ফিটিংস যন্ত্রপাতি, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, আরবরিকালচার, সিসিটিভি, ফায়ার প্রোটেকশন সিস্টেম, সিকিউরিটি পাইটিং, বজ্রপাত প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ২০০ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস হল, ১৫০ আসনবিশিষ্ট তিনটি সেমিনার হল, ১৫০ আসনবিশিষ্ট দুটি কনফারেন্স হল, ভবনের ১০ তলায় রেস্ট হাউস, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ভবনটি পরিবেশবান্ধবের মাপকাঠিতে সবুজ প্রকল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ ভবনের অষ্টম তলা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদফতরের অফিস হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৬ জুলাই কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় সংসদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৫ পাস হয়। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট কউকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদকে নিয়োগ করে সরকার। ১৪ আগস্ট তিনি যোগদান করে টানা মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।