নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিয়ন হোসেনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আইনী সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন আসামী জুয়েল উদ্দিনের পরিবারের। জামিন শুনানীতে কোন আইনজীবী জেরা না করার কারনে জামিন শুনানী না পাওয়ার পাশাপাশি নির্দেশ প্রমানের সুযোগও পাচ্ছে না আসামীর পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর শহরের কান্দিভিটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আসামী জুয়েল উদ্দিনের স্ত্রী মিম আক্তার পিয়া। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আসামী জুয়েল উদ্দিনের শ্বাশুরি মারুফা বেগম, নানা শ্বশুর মকসেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জের ধরে নাটোর আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট নিয়ন হোসেনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে। এই ঘটনায় পুলিশ দিঘাপাতিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের ছেলে এবং এমকে কলেজের এমএলএসএস পদের কর্মচারী জুয়েল উদ্দিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরপর আসামী জুয়েল উদ্দিনকে জামিনে বেরিয়ে আনার জন্য নাটোর আইনজীবীদের কাছে গেলে কেউ জামিন শুনানি করতে চায়। পরে জামিন শুনানির জন্য আইনজীবী চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত আবেদন করে জালাল উদ্দিন। কিন্তু কোন ভিকটিম নিয়ন হোসেন আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার কারনে কোন আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশগ্রহন না করায় জামিন হচ্ছে না অভিযুক্ত জুয়েল উদ্দিনের। পাশাপাশি নির্দেশ প্রমানের সুযোগও পাচ্ছে না পরিবারটি।
আসামী জুয়েল উদ্দিনের স্ত্রী মিম আক্তার পিয়া বলেন, যে দিন অ্যাডভোকেট নিয়ন হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়, সেদিন আমার স্বামী এমকে কলেজে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলো। এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছে। আমরা স্বামী নির্দোষ হওয়ার পরও জেল খাটতে হচ্ছে। অবিলম্বে আইনজীবী নিয়োগ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের এমএলএস পদে চাকুরি পুর্নবহালের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদার বাচ্চা বলেন, আসামীর জামিন শুনানীতে কোন আইনজীবীকে নিষেধ করা হয়নি। এই রকম কোন লিখিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। আইনী সহায়ত পাওয়ার সবার অধিকার রয়েছে। কোন আইনজীবী যদি জুয়েল উদ্দিনের পক্ষে জামিন শুনানি করে আমাদের কোন বাধা নেই।