ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে বেতারের শিল্পী, শ্রোতা, সম্প্রচারকর্মী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে বেতার শুনি, বেতারেই আস্থা রাখি’-নির্ধারিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় বিপর্যস্ত বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। ২০০৯ সাল থেকে আমরা গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন করে তথ্যকমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় নিরন্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে বেতার। সমসাময়িক যুগের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠান ইন্টারনেটে দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের শ্রোতার কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশ বেতারের অনন্য ভূমিকা সর্বজনবিদিত।
কৃষিতে নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যমান কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের অভিযাত্রায় গবেষণা ও সম্প্রসারণ এবং নীতি-সহায়তা ও প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। খবর তথ্য বিবরণীর। তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে খাদ্য উৎপাদনব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে; এই নির্দেশনা পালনে কৃষিবিদদের কর্মতৎপরতা প্রশংসার দাবি রাখে। রোববার ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২২’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গতকাল দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের চাকরি প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন, যা এ দেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকায় কৃষকদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় এক কোটি ১ লাখ ৫১ হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে কৃষিতে রোল মডেল। আমরা বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজিতে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারাতে অষ্টম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং রফতানিতে প্রথম। বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যা বিশ্বে দ্বিতীয়।