ডেস্ক নিউজ
দেশের উপকুলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষকে সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের সময় নিরাপদ আশ্রয় প্রদানসহ আরো বেশকিছু সুবিধা নিশ্চিতে ৯টি জেলায় কাজ করেছে সরকার। বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পটি (এমডিএসপি) বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি অনেকদূর এগিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও জিওবি-এর সহাতায় সারাদেশে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী- এ ৯টি জেলায় ও ৭৬টি উপজেলায় এমডিএসপি বাস্তবায়নে কাজ চলছে। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে সুপার সাইক্লোন সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে জনগণ এবং তাদের সম্পত্তিসহ গৃহপালিত জীব-জন্তুর নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিতকরণ, প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ও বিভিন্ন সামাজিক এবং সরকারি কর্মসূচি যেমন- ইপিআই, এনজিও, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির উন্নয়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি। আরো জানা গেছে, এ প্রকল্পটি গত ২০১৪ সালে অনুমোদিত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ঠিক করা হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রকল্পসূত্রে জানা গেছে। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৫৫৬টি সাইক্লোন সেল্টার।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন ভোরের কাগজকে জানান সাইক্লোন শুধু সেল্টার বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য নয়। তা পরবর্তীতে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে বা হবে। কাজের গুণগত মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বব্যংকের প্রতিনিধিরা সরাসরি এই কাজ দেখাশুনা করছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আমাদের সাইক্লোন শেল্টার অসংখ্য বিপদগ্রস্ত মানুষের জান-মালকে রক্ষা করে।
জানতে চাইলে বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের (এমডিএসপি) পরিচালক জাবেদ করিম ভোরের কাগজকে বলেন,আমাদের এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপার সাইক্লোনের (সিডর) প্রাকৃতিক এবং জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে বসবাসরত মানুষ এবং তাদের সম্পদসহ গৃহপালিত জীব জন্তুর নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন আরো বলেন, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তার মধ্যে জিওবির ১০ কোটি টাকা ও বাকি টাকা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পের কাজের কত শতাংশ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ অল্প সময়ের মধ্যে সমাপ্ত হবে জানান এ কর্মকর্তা।