ডেস্ক নিউজ
পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে ২৫ জুন। এর পরের বছরের মার্চে পদ্মা সেতুর নিচতলা দিয়ে ট্রেন চলতে পারে। আগামী মার্চে রেলপথটির ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সিগন্যালিংসহ অন্যান্য কাজ সারতে কিছুটা দেরি হলে সেক্ষেত্রে জুনের মধ্যে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রস্তুত হবে বলে ধারণা করছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। আর পুরো রেলপথ চালু হবে ২০২৪ সালের জুনের আগে। সে সময় ঢাকা-পদ্মা সেতু-যশোর রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর পরের বছর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু করবে রেল কর্তৃপক্ষ। সুদসহ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত সরকারের খরচ হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৬৭ কোটি ডলার বা ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এক্সিম ব্যাংক অব চায়না। প্রেফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) মাধ্যমে নেওয়া এ ঋণের সুদহার ২ শতাংশ। গ্রেস পিরিয়ড ছয় বছর। রিপেমেন্ট পিরিয়ড ২০ বছর। ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে ২০২৫ সালে।
পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা-খুলনা রুটের আন্তঃনগর চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-বেনাপোল রুটের আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস নতুন রেলপথটি ব্যবহার করবে। এতে প্রতিটি ট্রেনের যাত্রার সময় কমবে ৪-৫ ঘণ্টা। এর বাইরে ভবিষ্যতে ঢাকা-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া, ঢাকা-ফরিদপুর-রাজবাড়ী এবং ঢাকা-মাগুরার মধ্যে রেল চলাচলের সুযোগ তৈরি হবে। তা ছাড়া বরিশালেও নতুন ট্রেন রুট চালুর চিন্তা রয়েছে। ঢাকা-কলকাতা ট্রেন পরিচালনারও সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি মোংলা বন্দর ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকেও ভবিষ্যতে নতুন রেলপথ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার সুযোগ তৈরি হবে।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত আশপাশের এলাকার মানুষ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সুবিধা পাবেন। চলবে নতুন নতুন ট্রেন।