পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, , বিগত ১১ বছর ধরে আমাদের দেশ গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই সাথে আমাদের দারিদ্রসীমা অর্ধেকে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে প্রাকাশ করেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমাদের দারিদ্রসীমা আরো ৫ শতাংশ কমিয়ে আনবেন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রসীমার হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনবেন।
আমরা আশা করি ২০৪১ সালে আমরা সোনার বাংলা উন্নত সমৃদ্ধশীল দেশে পরিনত হবে যেখানে অন্য,বস্ত্র ও বাসস্থানের কোন অভাব থাকবেনা। অর্থনৈতিক কূটনীতির সফলতার কারনেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত -সকলের সাথে বন্ধুত্ব-এই পররাষ্ট্র নীতিতে পথ চলছে বাংলাদেশ। সকলের সাথে বৈরীতা পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল অর্জণ করা।
করোনাকালীন স্থবির সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মেডিকেল সরঞ্জামাদি রপ্তানীর সুযোগ তৈরী হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ পিপি পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরের নাটোরের উত্তরা গণভবন সহ ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন শেষে নাটোরের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামসুল হক, সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দিন, খন্দকার তালহা, নজরুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ও মেহেদী হাসান, নাটোর ২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,নাটোর ১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল,জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সহ প্রশাসনের উর্দ্ধোত্তন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকগন।