আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও ফ্রান্স। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদামধ্যম আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে উত্তেজনা নিরসন এবং সংঘাত পুরোপুরি থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। উভয় পক্ষের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন দুই নেতা।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, মূলত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর আগ্রহেই পুতিন-ম্যাঁক্রো ফোনালাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ফোনালাপে দুই নেতা সংঘাত বন্ধে আজারাবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্রুত আলোচনা শুরুর তাগিদ দেন।
এর আগে অবশ্য আজারাবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই দেশই আলোচনার ডাক প্রত্যাখ্যান করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। আজারবাইজানের ভূখণ্ড থেকে আর্মেনীয় বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানায় বাকু। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে আর্মেনিয়া। রবিবার শুরু হওয়া এই সংঘাতে এরইমধ্যে নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। আর মুসলিম দেশ আজারবাইজানকে জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে রাশিয়া ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোও এতে যুক্ত হতে পারে।
কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে জানা গেছে। নতুন করে সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।