ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এলক্ষ্যে সিলেটে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন জেনে সিলেটসহ সারা দেশের চা শ্রমিকরা আনন্দে উদ্বেলিত। এই আনন্দঘন মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন।
স্মরণকালের দীর্ঘতম কর্মবিরতিতে যখন গভীর সংকটে দেশের চা শিল্প, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসেই ধর্মঘট ভেঙ্গে গত রবিবার (২৮ আগস্ট) কাজে যোগ দেন চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করায় ইতোপুর্বেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চা শ্রমিকরা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাল নিজে তাদের মুখ থেকে শুনবেন তাদের জীবন সংগ্রামের কথা। অবশেষে, পূরণ হচ্ছে চা শ্রমিকদের প্রাণের চাওয়া।
সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিলেটের লাক্কাতুড়া বাগানের গলফ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে অনুষ্ঠানের। সেখানে হাজির হবেন সিলেট জেলার ২৫ টি চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক। অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। একই সাথে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতাও লক্ষণীয়। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অনুষ্ঠান সফল করতে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
তেঁতুলিয়া সদর ইউপির তেলিপাড়া গ্রামে চা-বাগানে পাতা তুলছেন শ্রমিকরা। ছবি: ইত্তেফাক।
সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মজিবর রহমান জানান, ‘আগামীকাল শনিবার বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (উত্তর) এর উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ পিপিএম বাসস’কে জানান,এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটে লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠ ও আশপাশ এলাকায় গত দুইদিন ধরে পুলিশ অবস্থান করে ওই এলাকাকে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন। এই কথা শোনার পর থেকেই শুধু কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গল নয়, সারা মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চা বাগানে এক ধরনের আনন্দের বন্যা বইছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন সাড়া ঐতিহাসিক মনে করেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।