নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৩০ মার্চ নাটোরের লালপুর উপজেলার ময়না যুদ্ধ দিবস। ৭১’ এর ৩০ মার্চ সকালে পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের সদস্যরা পাবনা মিলিটারি ক্যাম্প থেকে ৩টি জিপ ও ৬টি ট্রাকের বহর নিয়ে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তারা পাবনার দাশুরিয়াতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে উত্তর দিকে কাঁচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ময়না গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় মুক্তি পাগল জনতা তাদের ধাওয়া করলে কোন উপায় না পেয়ে তারা প্রত্যন্ত ময়না গ্রামে ঘাঁটি স্থাপন করে। এ সময় গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাজার হাজার জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনী পাক হানাদার বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে পাক বাহিনী বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন করে। তারা কিছু সংখ্যক বাঙ্গালিকে আম গাছের সাথে পিঠ মোড়া করে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে বিভিন্ন স্থানে ছদ্ম বেশে লুকিয়ে থাকা হানাদার বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান বাঙ্গালিদের হাতে ধরা পড়ে এবং ক্ষিপ্ত জনতা তাদেরকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এই যুদ্ধ ছিল নাটোরের প্রথম যুদ্ধ। স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মরণে স্থানীয় ভাবে ওই স্থানে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি শহীদ পরিবারের ও তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটির। এলাকাবাসীর দাবী শহীদ পরিবারের ও তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটির সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া হোক।