ডেস্ক নিউজ
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে ঈগল পাখি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বৈধ ও বহাল ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ফুল বেঞ্চ। আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন আদালতের ফুল বেঞ্চ। এরফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতর আতাউর রহমান প্রধানের আর কোন বাঁধা রইল না। আতাউর রহমান প্রধানকে নির্বাচন থেকে সড়ানোর অপচেষ্টাকারীদের ও নৌকা প্রার্থী মোতাহার হোসেনের করা আপিলসহ সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন প্রার্থী সহ তার কর্মি সমর্থকরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের সমর্থকরা বলেন, প্রতিপক্ষ নৌকা প্রার্থীর সক্রিয় বিরোধিতার কারণে লালমনিরহাট রিটার্নিং অফিস ও নির্বাচন কমিশনে আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এরপর আতাউর রহমান প্রধান তার প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের আশ্রয় নেন। হাইকোর্টের আদেশে আতাউর রহমান প্রধান তাঁর প্রার্থিতা ফিরে পান। ফলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রতীক পাওয়ার অধিকার অর্জন করেন। অথচ প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রতিপক্ষ নৌকার কর্মিরা প্রতীক পাওয়ার বিরোধিতা করে। কিন্তু সেখানে তাদের বিরোধিতা করে কোন লাভ হয়নি। সেখানে রির্টানিং অফিসার আতাউর রহমানকে ঈগল পাখি প্রতীক বরাদ্দ করেন। প্রকীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামেন আতাউর রহমান প্রধান। সেখানেও তাঁকে নানাভাবে বাঁধা প্রদান করতে থাকে তাঁর প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী ও কর্মিরা। আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁকে হেয় করার চেষ্টাও করা হয় বারংবার। পাশাপাশি উচ্চ আদালতেও তারা আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে ওঠেন।
এরপরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। আপিল শুনানির পর চেম্বার জজ আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। এর ফলে আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা আবারও বৈধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপরও প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী থেমে থাকেনি। তারা চেম্বার জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে আপিল করেন। শুনানী শেষে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর মাধ্যমে চেম্বার জজ আদালতের রায় পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ফলে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আতাউর রহমান প্রধানের আর কোনো বাধা থাকলো না।
স্থানীয়রা আরো বলেন, আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে এমন করার কি কারণ থাকতে পারে তা তারা জানেন না। তিনি নির্বাচন করলে প্রতিপক্ষের অসুবিধা কোথায়, তাদের এতো ভয় কেন? ঈগল আজ সাধারণ মানুষের মনিকোঠায় রয়েছে। তার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে নৌকার প্রার্থী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আতাউর রহমান প্রধানকে এভাবে হেনস্থা করার জন্য হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার আপামর জনতা নীরবে নিভৃতে ফুঁসে উঠেছেন। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের জন্য অধিক দরদ ও সহানুভূতি অনুভব করছেন। হয়তো এ কারণেই আতাউর রহমানের ভোট অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ভোটাররা বলছেন, আল্লাহর দয়া থাকলে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে, ভোটারা ভোট কেন্দ্রে গেলে আতাউর রহমান প্রধান বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।