আদালতের রায়ই মানে না আদালত। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে দেড় বছর আগে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও মানা হচ্ছে না বিচারিক আদালতে। এমনকি উচ্চ আদালতেও ঝুলছে বছরের পর বছর। আর আইনের এই ফাঁকফোকড়ে জামিনে বের হয়ে যায় অনেক আসামি।
প্রতিবন্ধী মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা দায়েরের তিনদিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে গেছে আসামি। বের হয়েই দিচ্ছেন হুমকি ধামকি। প্রতিকারের আসায় ৮ মাস ধরে মা ঘুরছেন আদালতের দ্বারে দ্বারে।
বিচারে গতি আনতে এবং ঝুলে থাকা মামলার বোঝা কমাতে দেড় বছর আগে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির সময় বেঁধে দিলেও এর কোন প্রভাব পড়েনি বিচারে। আদালত ঘুরে যার সত্যতা মিলে। এমন পরিস্থিতি দেখে হতাশ উচ্চ আদালত।
ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, আদালতের নির্দেশনা যদি এটুকু মেনে চলতে পারি তাহলেও এ ধরেনর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাইবুন্যালগুলো এই নির্দেশনা মানতেছে না।
অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এস এম মুনীর চৌধুরী বলেন, যদি কেউ না মেনে থাকেন এগুলো কন্টেন্ট আকারে এখানে বিচার করা উচিত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দিলেন নানা অজুহাত।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ হচ্ছে তদন্ত এবং সাক্ষী না আসা। দেখা যাচ্ছে স্বাক্ষীর সমন দেয়ার পর তারা আসে না।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে অনেক আসামি বের হয়ে যাচ্ছেন জামিনে। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় বলছে, এখন আর সে সুযোগ দেয়া হবে না।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, কেউ যাতে আইনে ফাঁক ফোকড়ে দিয়ে বের হয়ে না যেতে পারে; সেজন্য আমরা সুদৃষ্টি দিচ্ছি।
ঢাকার নয়টিসহ দেশের ১০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই লক্ষাধিক।