নিউজ ডেস্ক:
আদালত অবমাননার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রদলের নব্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা উপেক্ষা করেই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ছাত্রদল সভাপতি।
খোকন বলছেন, রাজনৈতিক বিষয়ে তার দল বা সংগঠন যা বলবে তাই চূড়ান্ত। আদালত এখানে মুখ্য নয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালত ছাত্রদলের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু তা মানবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, আমরা আদালতের এসব নিষেধাজ্ঞা মানি না। কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি, ফলে আমরা যা ইচ্ছে তাই সিদ্ধান্ত নেব। তাই আমাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো এখতিয়ার আদালতের নেই।
খোকন আরও বলেন, যদি আমাদের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হতো তাহলে বিষয়টি ভিন্ন ছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বচ্ছ একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদকের কার্যক্রমের ওপর আদালত কীভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় তা আমার বোধগম্য নয়। আদালত যদি এমন কোনো নির্দেশনা দিয়ে থাকে তবুও আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এতে যদি আদালতের প্রতি অবমাননা হয় তাতেই আমরা পিছু হটবো না।
এমন প্রেক্ষাপটে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে বিব্রত বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বের এই আদালত অবমাননা সত্যিই বিব্রতকর। তাদের এ সংক্রান্ত ইস্যুতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। যা বিএনপিকেই ফেস করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ছাত্রদলের কমিটি করা নিয়ে এমনিতেই নানামুখী সমস্যায় আছি। এরপর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রথম দিনের কর্মসূচিতেই অনুষ্ঠানস্থলে দেরিতে পৌঁছে আরকটি বিতর্ক তৈরি করলো। এখন তারা আদালত অবমাননা করে বক্তব্য দিচ্ছে। এসব নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে অচিরেই বসা হবে।