গেলো ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষের পর, চকবাজার থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে দু’পক্ষই। এরপর থেকেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুখোমুখি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দুই গ্রুপ।
এনিয়ে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। এক মাস আগে উভয়পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বেড়েছে আরও।
ঘটনা তদন্তে একাডেমিক কাউন্সিল কমিটি গঠন করলেও, তা প্রত্যাখ্যান করেছে এক পক্ষ। তাদের অভিযোগ, অপর পক্ষকে তদন্তের আওতায় আনা হয়নি। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।
তবে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের দাবি- তিনি শুধু একপক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকের উপস্থিতির অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান বলেন, সেদিন যারা অভিযোগ করেছে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে তাদের উপর আলোচনা করেছি। তারপর যখন একাডেমিক কাউন্সিল থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে তারপর কে বা কারা আরেকটি চিঠি দিয়েছে।
তদন্ত শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিবদমান দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কমিটি সদস্যরাও।
এবিষয়ে জানতে চাইলে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে কোন কথা বলার অনুমতি না থাকায় কথা বলতে রাজি হননি তদন্ত কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের এবং অপরপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারি হিসেবে দাবি করে।